সব পর্যটনকেন্দ্র আজ খুলছে, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে পর্যটনকেন্দ্র-সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে পর্যটকসহ সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

আজ থেকে আবার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে পাহাড়। জেলার নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক, স্বর্ণমন্দির, রামজাদীসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামবে। ইতিমধ্যে জেলার হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের রেস্টুরেন্ট, বিপণিবিতানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রে পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটন কেন্দ্রসমূহের প্রবেশ মুখে থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সাবান দিয়ে পর্যটকদের হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করা যাবে না। দীর্ঘদিন পর বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। তারা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক হোটেল-মোটেল পরিচালনা করবেন বলে জানান ।

জেলার হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও সরকারি-বেসরকারি পর্যটন স্পটগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তারা। দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় জেলার পর্যটন ব্যবসায়। রাঙ্গামাটি চেম্বারের হিসাবে, পর্যটনের পাঁচটি খাতে দিনে গড়ে অন্তত সোয়া ২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় তারা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। কাপ্তাই লেকের বোট মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, আমাদের বোটের চালকরা এত দিন বেকার ছিল। তবে তাদের নিয়মিত বেতন দিতে হয়েছে। রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে যাবেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে উত্তরা গণভবন। এছাড়া জেলার বন্ধ থাকা সব পর্যটন কেন্দ্রও খোলা হবে। এদিকে করোনায় বদলে গেছে উত্তরা গণভবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। গণভবনের ভেতরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফল, ফুল। গাছের ডালে ডালে সবুজের সমারোহ। মানুষের চলাচল না থাকায় প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে আগের রূপ। পুরো গণভবন পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উত্তরা গণভবনসহ জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর