বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ছানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের আনারস চাষি। দীর্ঘ দিন যাবত আনারস চাষ করেন। এ বছরও চার একর জমিতে আনারস চাষ করেছেন। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর আনারসের চাহিদা ও দাম একটু বেশি। এতে তিনি লাভবান হয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলায় হানি কুইন্ট ও জায়ান্ট জাতের আনারস চাষ হয়। গত বছর ৭ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছিল। এবছর ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে ওই দুটি হাটে গিয়ে কথা হয় আনারস বিক্রেতা চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি দামে আনারস বিক্রি হচ্ছে। এ বছর মানভেদে প্রতিটি আনারস ২৫ থেকে ৬৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর মানভেদে আনারস বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ৪৫ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাকালে জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগের কারণে এবার আনারস মানুষ বেশি খাচ্ছেন। তাই এর চাহিদা বেশি বেড়েছে। এ জন্য চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছে আনারস বিক্রি করে।
আনারস ব্যবসায়ী ছানোয়ার হোসেন বলেন, চার একরের আনারসের মধ্যে ইতোমধ্যে ২০ হাজার আনারস বিক্রি করেছি। এখনো প্রায় ৩০ হাজার আনারস জমিতে রয়েছে। এবার অনেক বেশি দামে আনারস বিক্রি করতে পারছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় লাভও অনেক বেশি হচ্ছে।
অপর ব্যবসায়ী ইয়াসিন মিয়া বলেন, শুধু গারো বাজার হাট থেকেই প্রতিদিন ৫০/৬০ ট্রাক এবং শতাধিক সিএনজি চালিত এবং ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার আনারস যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আনারসের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। আর বাজারে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাই চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আহসানুল বাসার বলেন, প্রকল্পের আওতায় আনারস চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রশিক্ষণে নিরাপদ আনারস চাষের জন্য দুটি ক্লাস নেওয়া হয়। মধুপুরে ছানোয়ার শেখ নামের এক চাষির নেতৃত্বে নিরাপদ আনারস চাষের জন্য সমিতি করা হয়েছে।