চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ নাই, ওখানে গিয়ে মারামারি করে কেন?

 

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি থাকার দাবি বিএনপি করলেও সেখানে জিয়ার লাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নাই, বিএনপি ওখানে গিয়ে বিশৃংখলা-মারামারি করে কেন?

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর ও দক্ষিণ) উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।  তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।

সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নেই।  তারপরও বিএনপি সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে।

‘বিএনপি জানে না সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) জিয়া নাই, জিয়ার লাশ নাই? তাহলে এতো নাটক করে কেন? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি কখনো তার লাশ দেখেছে? ওখানে একটা বাক্স নিয়ে এসেছিল।  সেখানে গিয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি কেন? মারামারি ধস্তাধস্তির অভ্যাস তাদের এখনও যায়নি।’

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির পিতা স্নেহ করতেন।  মর্যাদা দিতেন।  সেজন্য সেনাবাহিনীতে উপ-প্রধান পদ না থাকলেও জিয়াউর রহমানের সংসার রক্ষায় ঢাকায় এনে তাকে সে পদ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে জাতির পিতার নাম কেউ মুছতে পারবে না জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমার মৃত্যুভয় নেই।  কোনো আকাঙ্ক্ষাও নেই।  ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশ ব্যর্থ হোক, স্বাধীনতার চেতনা মুছে যাক; সেটাই করতে দেব না।  জাতির পিতার নাম তারা এখন আর মুছতে পারবে না।  যে ইতিহাস তারা মুছতে চেয়েছিল, তারা আর পারবে না। আমার দেখা নয়াচীন বেরিয়েছে। জাতির পিতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্টও সাত খণ্ডে বেরিয়েছে, বাকিটাও বের হবে।

তিনি বলেন, দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।  সে উন্নয়নশীল থেকে বাংলাদেশ উন্নত দেশ করবো, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। আজকের বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমে ২০ ভাগে নেমেছে, মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়নে উন্নীত।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল, উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর