বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে। ২০০০ ডলারের বেশি আমাদের মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর দিকে অর্থ ঋণের জন্য তাকিয়ে থাকে না। বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পদ্মাসেতু,পায়রা বন্দর, মাতারবাড়ী বন্দর, মোংলা বন্দর, বে টার্মিনালের মতো প্রকল্প বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক আমাদের পেছনে পেছনে ঘুরে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। পৃথিবীর বিস্ময়। করোনা মহামারীতেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে নাই।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকালে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রৌফ চোধুরী অডিটোরিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে আমাদের অহংকার ও গর্বের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আইন করেই পঁচাত্তরের খুনীদের শুধু রক্ষা করে নাই; তাদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। দালাল আইন বাতিল করে একাত্তরের রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিলেন। শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। গোলাম আজমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এরপরও কি আমাদের বলতে হবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুন করে নাই।
তিনি বলেন, ৮১ সাল পর্যন্ত জীবদ্দশায় জিয়াউর রহমানের সময় ১৮টি ক্যু হয়েছিল। যেখানে জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। এখনো অনেক পরিবার জানে না তাদের সন্তান কোথায় আছে। গুম-খুন-হত্যায় জিয়াউর রহমান পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড তৈরি করেছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কোথাও প্রতিবাদ হয়নি এটি সত্য নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেদিন অস্ত্রের মুখে টুঙ্গিপাড়ায় প্রতিবাদ হয়েছিল। জানাযা না পড়েই বঙ্গবন্ধুকে দাফন করতে চেয়েছিল। কিন্তু টুঙ্গিপাড়ার মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, একজন মুসলমানকে জানাযা না পড়ে দাফন করা যাবে না। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে ইসলামী নিয়মে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল। বঙ্গবন্ধুর কথা বললেই নেমে আসতে নির্যাতন, নীপিড়ন। এর মধ্যেও সেদিন ছাত্রলীগ মিছিল ধরেছিল ‘এক মুজিবের রক্ত থেকে, লক্ষ মুজিব জন্ম নিবে’। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কখনো রাজপথ থেকে পিছু হটে নাই।
আলোচনা সভায় বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিপুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম ইশানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক মোঃ আফছার আলীসহ ছয় ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সেতাবগঞ্জ পৌর সভার মেয়র মোঃ আসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নইমউদ্দীন শাহ, আব্দুস সবুর, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মোঃ মামুন, শামীম আজাদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ্জামান কবীর, দপ্তর সম্পাদক এম বিল্লাহ জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম খন্দকার কায়ছার ।