ভারত আমাদের ঘরের মানুষ: মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের কথা স্মরণ করে আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, ভারত আমাদের পাশে ছিল বলেই আমরা মাত্র ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আমি বলতে চাই, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যে দেশ কোনো দেশকে স্বাধীন করতে নিজের দেশের সৈন্যকে দিয়ে স্বাধীন করে আবার সেই সব সৈন্যদের নিয়ে গেছে। ভারত সব মিত্রবাহিনীর সদস্যদের ফেরত নিয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ উদযাপন করেছে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে মৈত্রী দিবস-২০২২ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করা হয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে। অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক।

ভারত আমাদের স্থায়ী প্রতিবেশী, ঘরের মানুষ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ।  আমরা আশা করি, ভারত আমাদের পাশে ছিল, আগামীতেও পাশে থাকবে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার ১০ দিন পূর্বে ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর মার্চ মাসে মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ সফরের সময়ই ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এরই আলোকে স্বাধীনতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে গত বছর এই দিনে প্রথম বাংলাদেশ ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে মৈত্রী দিবস পালন করেছে। এবারো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উভয় দেশে দিনটি পালিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুটি ভিন্ন দেশ হলেও উভয় দেশের জনগণের সম্পর্ক অচ্ছেদ্য, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন পোড়ামাটি নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে বাঙালি নিধনে মেতে ওঠে তখন ভারত সরকার, ভারতের জনগণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এ বন্ধনকে স্থায়ী রূপ দিয়েছিল।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, কূটনৈতিক, রাজনীতি, মিডিয়া, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুদেশের দেশাত্মবোধক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শিল্প নেতৃত্ব, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ উদযাপনে যোগ দেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর