তবু হাজারও ক্রিকেটপ্রেমীর কলতানে মুখর শেরে বাংলা

আয়োজন নিয়ে নানা কটু কথায় চারিদিক সয়লাব। বিপিএল আকর্ষণ ও জৌলুস হারিয়েছে। আসর মাঠে মাঠে গড়ানোর আগে দুই দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি বিন মর্তুজা বিপিএলের মান, আয়োজনের ত্রুটিবিচ্যুতি আর নানা অনিয়ম, অসঙ্গতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাতে করে একটা নেতিবচক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছিল। মনে হচ্ছিল, এবারের বিপিএল বুঝি তেমন দর্শক টানবে না।

পাশাপাশি উইকেট নিয়েও ছিল রাজ্যের সংশয়। শেরে বাংলার পিচ এমনিতেই স্লথ। বাউন্সও থাকে না তেমন। গড়পড়তা রানও ওঠে কম। বিপিএলের সর্বশেষ দুই আসরে বিশেষ করে দিনের খেলাগুলো ভোগে রানখরায়। স্কোরলাইন থাকে গড়পড়তা নিচের দিকে।

তার মধ্যে এবার খেলা শেরে বাংলা পৌষের তৃতীয় সপ্তাহে শৈত্য প্রবাহে। পিচের আচরণ নিয়ে সংশয়টা তাই বেশিই ছিল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ৮৯ অলআউট হওয়া দেখে কেউ কেউ ধরেই নিয়েছিলেন উইকেট ভালো না একদমই।

আসলে তা নয়। উইকেট খুব খারাপ ছিল না। সিলেটের তিন পেসার রেজাউর রহমান রাজা (৪ ওভারে ৪/১৪), মোহাম্মদ আমির (৪ ওভারে ২/৭) আর মাশরাফির (৪ ওভারে ১/১৮) মাপা বোলিংয়ের মুখেই মুখ থুবড়ে পড়ে চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং। উইকেট খারাপ হলে মাশরাফির দল ৪৫ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারতো না।

সকালের ম্যাচে দর্শক একটু কম ছিল। তবে শুক্রবার জুমআর নামাজের পর দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই ধীরে ধীরে শেরে বাংলা দর্শক কলতানে মুখর হতে থাকে। বিকেল হতেই হোম অব ক্রিকেটের প্রায় ৬০ ভাগ ভরে যায়।

তারা প্রথম ম্যাচ দেখে তেমন বিনোদন না পেলেও সন্ধ্যায় শুরু চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর রংপুর রাইডার্স ম্যাচটি প্রাণভরে উপভোগ করছেন। রংপুরের ওপেনার রনি তালুকদার আর পাকিস্তানি শোয়েব মালিকের ব্যাটিং রংপুর সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে বেশ।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর