গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেলো গণঅধিকার পরিষদ

সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ো গেলো নুরুল হক নূরের দল গণঅধিকার পরিষদ। শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।

গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সমন্বয়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সভাপতিত্ব করেন।

সভার সিদ্ধান্তসমূহ:

১. সভায় পূর্ববর্তী সভার সিদ্ধান্তসমূহ অনুমোদন দেওয়া হয়।

২ সভায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব পাশ করা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবন তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আগামী ১৫ মে কেন্দ্ৰীয় কার্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

৩. সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামী ১২মে শুক্রবার বিকাল ৩.৩০ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৪. সভায় ভোটারবিহীন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে জনগণের সাথে প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সে লক্ষ্যে শুধুমাত্র ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ এর সাথে জোটবদ্ধ কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ না থেকে গণঅধিকার পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলের সাথে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০২২ সালের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাত দলীয় জোটের গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ হয়। সে সময় জোটে ছিল- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাষানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। ডিসেম্বর থেকে এ জোট বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর