নিহতদের মধ্যে ইতালীয় ৯, জাপানি ৭, বাংলাদেশি ৩ ও ভারতীয় ১

রাজধানীর গুলশানের হলি আটির্জান রেস্তোরাঁয় শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২০ জনের  মধ্যে  ৯ জন ইতালি ও ৭ জন জাপানী নাগরিক। এছাড়া ৩ জন বাংলাদেশী এবং একজন ভারতীয় নাগরিক বলে একাদিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শনিবার ইতালীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলনি সেদেশের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে ৯ ইতালীন নাগরিক।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেদেশের বাংলাদেশের দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে নিহতদের ৭ জন জাপানী নাগরিক।
তিন জন বাংলাদেশী হামলায় নিহত হয়েছে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকতারা নিশ্চিত করেছেন। তবে নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তারা।

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, আর্টিজান বেকারি রেস্তারাঁতে গত রাতে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তারাশি জৈন (১৯) নামের ভারতীয় এক তরুণী রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তারাশির বাবা গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারাশি যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন করছিলেন। ছুটিতে তিনি ঢাকায় এসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।

হামলাকারী এবং পুলিশ সদস্য ছাড়া নিহত অপর ২০ জনের নাগরিকত্ব, নাম এবং পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্দুকধারী ঢুকে দেশিও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। ১২ ঘন্টার এই জিম্মি ঘটনায় ২০ বিদেশি, ছয় সন্ত্রাসী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জাপানি এবং দুইজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলাম। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের হামলা চালিয়ে আইএস মানুষকে জিম্মি করলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর