প্রথম বাংলাদেশ সরকার

রাত পেরোলেই ১৭ এপ্রিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। একাত্তরের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এই বৈদ্যনাথতলাকেই পরে মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়। এতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন।

মুজবনগর সরকারই ছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। কেমন ছিল বাংলাদেশের এই সরকার? বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তওফিক ইমাম ছিলেন মুজিব নগর সরকারের ক্যাবিনেট সচিব। এইচ টি ইমামের লেখা বাংলাদেশ সরকার-১৯৭১-৭৫ বইয়ে মুজিব নগর সরকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ওই বইয়ের অংশ বিশেষ বাংলা ইনসাইডারেরর পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো:

প্রথম বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার)

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান দূরভিসন্ধিমূলকভাবে কালক্ষেপণ করেন। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া রেডিওতে ভাষণ দিয়ে বৈঠকের ফলাফল সম্বন্ধে জানাবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং পিপলস পাটি প্রধান জুলফিকার আলী ভুঠো চুপিসারে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে গোপনে বৈঠক করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযানের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২৪ মার্চ তারিখ থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঢাকা ত্যাগ করতে শুরু করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট এবং ভুট্টো ঢাকা ত্যাগের পরপর ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে প্রথমে ঢাকায় `অপারেশন সার্চলাইট নামে এক অভিযানে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর অস্ত্রশস্ত্রে সহিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বিচারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস পিলখানার ইপিআর-এর সদর দফতর এবং ঢাকার পুলিশ লাইন রাজারবাগসহ শহরের যত্রতত্র আক্রমণ চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে ছাত্র-ছাত্রী পুলিশ-আনসারসহ অসংখ্য পথচারী নিহত হয়। সেনাবাহিনী কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতার বাড়িতেও আক্রমণ পরিচালনা করেছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসা, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক-লেখক, সাংবাদিকের আবাসেও হানা দিয়েছিল। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিকসহ অন্যান্য কাজে আসা অতিথিবৃন্দ পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এই কাণ্ডকারখানা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। বিদেশি নাগরিক এবং সাংবাদিকদের ঢাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর লোকেরা এসব অতিথি এবং সাংবাদিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বিমানে তুলে দিয়েছিল। এত কিছুর মধ্যেও দু-একজন সাংবাদিক সামরিক বাহিনীর সদস্যদের চোখ এড়িয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে থেকে যেতে পেরেছিলেন। এদের মধ্যে ডেইলি টেলিগ্রাফের তরুণ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ্য । নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা সিডনি শনবার্গ এবং সাইমন ড্রিং-এর প্রতিবেদনের বরাতে সমগ্র পৃথিবীর গণতন্ত্রকামী মানুষ প্রথম জানতে পারে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি শাসকদের তথা সেনাবাহিনীর বর্বরতম গণহত্যার কথা।

প্রথমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় তারপর দেশের সর্বত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়। হাজার হাজার নিরীহ বাঙালিকে শহর-বন্দরগ্রামের জনপদে অত্যাচার-নির্যাতন এবং হত্যা করা হয় এবং পূর্ববঙ্গের সর্বত্রই ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার সঙ্গে লুটপাটও করা হয়। সাধারণ মানুষ এই বর্বরোচিত আক্রমণের মুখে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছুটোছুটি করতে থাকেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীগণ নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে প্রতিবেশী ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে বেছে নেন। শত বাধাবিপত্তির মাঝেও আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন। তাদের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় সমবেত হন।

পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনীর আক্রমণে পূর্ববঙ্গের অতিষ্ঠ জনগণও প্রতিশাধে গ্রহণের জন্য সে সময় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের আশা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথমেই আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মোকাবিলা করতে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়। এই মোকাবিলার ডাক বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি তাঁর প্রত্যেক বক্তৃতা-বিবৃতি, সভা-সমিতিতে শত্রুর মোকাবিলা করতে জাতিকে সতর্কবার্তা দিতেন। বিগত ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার বিখ্যাত ভাষণেও তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বাঙালি জনগণের মনে প্রেরণা দিয়ে বলেছিলেন, “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো”। বঙ্গবন্ধুর এসব আহ্বানে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের মুখে স্তম্ভিত জাতির সামনে আলোকবর্তিকারূপে প্রতিভাত হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সমাবেশ। এই সমাবেশ আনুষ্ঠানিক এবং ঐতিহাসিক অধিবেশনে রূপ নেয়। এই অধিবেশনে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মসিভা নির্বাচিত করে। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং এ, এইচ, এম কামারুজামান। সরকার গঠনের এই সংবাদ স্বাধীন বাংলা বেতারে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রচারিত হয়। সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই সরকার মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। মুজিবনগর নামকরণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে। মুজিবনগর নামে অভিহিত বৈদ্যনাথতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদস্যবৃন্দ শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৭ এপ্রিল এক সংক্ষিপ্ত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে। বিপুলসংখ্যক বিদেশি অতিথি এবং সাংবাদিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই সরকার ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিবনগরে অবস্থান করে। তবে পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সরকার তথা মুজিবনগর সরকার নিরাপত্তার জন্য পমিবঙ্গের কোলকাতার থিয়েটার রোডে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের সর্বপ্রথম সাংগঠনিক কাঠামো ছিল নিম্নরূপ। পরবর্তী সময়ে প্রয়ায়োজনানুযায়ী কাঠামো এবং দায়িত্ব বণ্টনের কারণে সরকারের অবয়বে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছিল।

মহামান্য রাষ্ট্রপতিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মহামান্য অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীঃ জনাব তাজউদ্দীন আহমদ
মন্ত্রিসভার সদস্য

খন্দকার মোশতাক আহমদঃ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদীয় বিষয়াদি

জনাব এম. মনসুর আলীঃ অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়

জনাব এ. এইচ. এম, কামারুজ্জামানঃ স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়
মুক্তিবাহিনী

কর্নেল (অব.) এম.এ.জি. ওসমানী, এম.এন.এঃ প্রধান সেনাপতি

কর্নেল (অব.) আবদুর রব, এমএনএঃ চিফ অব স্টাফ

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকারঃ ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, বিমানবাহিনী প্রধান
বিশেষ দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ

অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এঃ সচিব, কেন্দ্রীয় সাহায্য ও পুনর্বাসন কমিটি এবং চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ইয়ুথ ক্যাম্প।

ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এম.এন.এঃ ভলান্টিয়ার কোর

মতিউর রহমানঃ এম.এন.এ বাণিজ্য বিষয়ক

আবদুল মান্নান এম.এন.এ : স্বাধীন বাংলা বেতার, প্রকাশনা উপদেষ্টা

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এম.এন.এঃ শরণার্থী শিক্ষক বিষয়ক

 

অস্থায়ী সচিবালয়ে নিযুক্ত কর্মচারীবৃন্দ

রুহুল কুদ্স: সেক্রেটারি জেনারেল

হোসেন তওফিক ইমাম : ক্যাবিনেট সচিব

খন্দকার আসাদুজ্জামান : অর্থসচিব

আবদুস সামাদ: প্রতিরক্ষা সচিব

মাহবুবুল আলম চাষী : পররাষ্ট্র সচিব (নভেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত)

এ, ফতেহ (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত)

আনোয়ারুল হক খান : তথ্যসচিব

আবদুল খালেক: সংস্থাপন সচিব ও পুলিশপ্রধান

নুরুদ্দীন আহমদ: কৃষিসচিব

জে.জি. ভৌমিক: রিলিফ কমিশনার

ডা. টি. হোসেন: পরিচালক, স্বাস্থ্যসচিব

 

কুটনৈতিক দায়িত্ব

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী: বহির্বিশ্বে বিশেষ দূত

হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী: নয়াদিল্লিতে মিশন প্রধান

এম. হোসেন আলী : কোলকাতার মিশন প্রধান

 

পরিকল্পনা কমিশন

ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী: পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান

ড. মোশারফ হোসেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য

ড. আনিসুজ্জামান: পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য।

সৈয়দ আলী আহসান: পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য

ড. সারোয়ার মুরশিদ: পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য

ড. স্বদেশ রঞ্জন রায়: পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য

 

অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

ডা. আসহাবুল হক এমসিএ: বাংলাদেশ রেড ক্রস প্রধান

ড. এ. আর মল্লিক: বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান

উইং কমান্ডার (অব.) এস. আর. মির্জা: ইয়ুথ ক্যাম্পের পরিচালক

এম. আর. আখতার মুকুল: পরিচালক (রেডিও)

আবদুল জব্বার: পরিচালক (চলচ্চিত্র)

সৈয়দ কামরুল হাসান: পরিচালক, আর্টস ও ডিজাইন

 

মন্ত্রিসভার সদস্যগণের ব্যক্তিগত স্টাফ

কাজী লুৎফুল হক: অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব

ড. ফারুক আজিজ খান: প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব

আলী তারেক: পি.আর.ও

মেজর নুরুল ইসলাম: প্রধানমন্ত্রীর স্টাফ অফিসার

মামুনুর রশিদ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব

রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী পি.আর.ও (উপসচিব, বাংলাদেশ সরকার)

সা`দত হোসাইনঃ অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব

জোয়াদুল করিম: কোলকাতা মিশনে তথ্য অফিসার

আমিনুল হক বাদশা: কোলকাতা মিশনে তথ্য অফিসার

কামাল সিদ্দিকী: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব

কুমার শংকর হাজরা পি.আর.ও

ক্যাপ্টেন নূর: প্রধান সেনাপতির এডিসি

লে. শেখ কামাল: প্রধান সেনাপতির এডিসি

মোস্তফা আল্লামা: প্রধান সেনাপতির পি.আর,ও

আকবর আলি খান: উপসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

ওয়ালিউল ইসলাম: উপসচিব, সংস্থাপন

ড. খসরুজ্জামান চৌধুরী: উপসচিব, স্বরাষ্ট্র

এম. এইচ. সিদ্দিকী: ট্রান্সপোর্ট অফিসার

বিঃদ্রঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেনারেল পদে উন্নীত করেছিলেন।

[এইচ টি ইমামের লেখা ‘বাংলাদেশ সরকার-১৯৭১-৭৫’ বইয়ের ৩৩ থেকে ৩৭ পৃষ্ঠা]

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর