সাইবার হুমকি শনাক্ত করতে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং সাইবার হুমকি শনাক্ত করতে ‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি প্রোগ্রাম’ (জিএসপি) বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং মাইক্রোসফট এর মধ্যে এক চুক্তিস্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এর অধীনে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট (ডিসিইউ) ‘বাংলাদেশকে সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স এর কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিমকে (সিআইআরটি) প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে। এছাড়া এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে নিরাপত্তার উদ্বেগগুলো চিহ্নিতকরণে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।

পর্যায়ক্রমে এটা জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে যেখানে প্রতিটি মানুষ ও সংস্থা সাইবার হুমকি থেকে মুক্ত থাকবে। এ কাউন্সিল বাংলাদেশে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা স্থপনে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারের ই-গভর্নমেন্ট নেটওয়ার্ক ও এ সম্পর্কিত অবকাঠামোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করা।

বিসিসি জাতীয় ডাটা সেন্টার এর পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ এবং মাইক্রোসফট ইউএস এর সিনিয়র পরিচালক ডিসিইউ মার্ক ইস্টবার্গ চুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং মাইক্রোসফট এর সাউথ এশিয়া নিউমার্কেট প্রেসিডেন্ট সুক হুন চিয়াহ, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং সাইবার হুমকি শনাক্ত করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, মাইক্রোসফটের সাথে এ চুক্তি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে শিক্ষা সচেতনা এবং তথ্যাদি পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য, রাষ্ট্রীয় তথ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব বিষয়ে নিরাপত্তা বিধান সত্যিকার অর্থে চ্যালেঞ্জিং। তিনি আরও বলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করছে। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি। এর ভাল দিক হচ্ছে একটি ডিজিটাল এজেন্সি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি সমগ্র বিশ্বকে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর