তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সংক্রান্ত রায়েরও পুনঃশুনানি হতে পারে

অবসরে পর বিচারপতিদের লেখা রায়ের পুনশুনানি কার্যতালিকায় আসা নিয়ে আলোচনার মাঝে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সংক্রান্ত রায়েরও পুনঃশুনানি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।

সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মাহবুব বলেন, অবসরে যাওয়ার পর সাবেক দুই বিচারপতির লেখা ১৬৮টি মামলার যদি পুনরায় শুনানি হয়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মামলারও পুনঃশুনানি করা উচিত।

এর পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সাবেক দুই বিচারপতির লেখা ১৬৮টি মামলা এরই মধ্যে পুনঃশুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৫ মে এসব মামলা শুনানি শুরু হবে।’’

‘‘এটি যদি আদালতের সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলাটি সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার প্রায় ১৬ মাস পর রায় লিখে স্বাক্ষর করেন। এতে করে এ মামলাটিও পুনঃশুনানির দাবি রাখে।তাই প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের দাবি, এ মামলাটিও পুনঃশুনানির জন্য কার্যতালিকায় আনা হোক’’-বলেন খন্দকার মাহবুব।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ১৬১টি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সাতটি মামলার পুনঃশুনানির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৬১ মামলার মধ্যে বেশির ভাগ মামলার রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন বিচারপতি মানিক। কিন্তু তাঁর লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এর পরপরই প্রস্তুত করা হয় এসব মামলার পেপারবুক।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আগামী ৩ মের আপিলের কার্যতালিকায় মামলাগুলো পুনঃশুনানির জন্য এসেছে।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১৬৯ থেকে ২৭৪ ক্রমিকে বিচারপতি মানিকের কাছে রায় লেখার অপেক্ষায় থাকা মামলাগুলো পুনঃশুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর বাকি মামলাগুলো আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পুনঃশুনানির জন্য এসেছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর