মিয়ানমারে অবাধে চলছে শিশুহত্যা ও গণধর্ষণ

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপরে  হত্যা, ধর্ষণ আর নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা শিশুদের দেখলেই গুলি করে হত্যা করছে দেশটির সেনাবাহিনী। সুন্দরী নারীদের দেখলেই করছে গণধর্ষণ। খবর সিএনএনের।

তাদের নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতা চলছে।

-rohingya-camp-myanm

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী জানিয়েছেন, কিভাবে সেনাবাহিনীর হাতে তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তারা জানান, সৈন্যরা রোহিঙ্গা কোনো নারী দেখলে পানি খাওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। যাদের নেই কোনো দেশ, জাতিগত স্বীকৃতি।

কক্সবাজারের কুতুপালংএ অবস্থান করা রোহিঙ্গা শরনার্থী লালু বেগম জানিয়েছেন, তারা মধ্যরাতে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গ্রামের পর গ্রাম পার হয়ে তারা সেনাবিহানীর নজর এড়িয়ে নাফ নদীর তীরে পৌঁছেছেন। এরপর নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন।

-rohingya-camp-myanm

রোহিঙ্গা নারী বেগম বলেন, তাদের পুরো গ্রামটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর একসঙ্গে তার পরিবারের ৬ জন সদস্য পালানো শুরু করেন। কিন্তু এখন তার পরিবারের মাত্র ৩ জন সদস্যই বেঁচে আছেন। তার স্বামী ও ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আরেক ছেলে নিখোঁজ। ১০ বছরের অধিক বয়সের কোনো ছেলে শিশু পেলেই সামরিক বাহিনী তাদের হত্যা করছে।

-rohingya-camp-myanm

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারী নাসিমা খাতুন বলেন, সহিংসতা না থামা পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। প্রাণ বাঁচাতে সব কিছু ছেড়ে এসেছি। এখন আমরা কিভাবে ফিরে যাব। ফিরে গেলেই তো তারা আমাদেরকে মেরে ফেলবে।

এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ১২৫০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৯ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬শ’জনকে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর