সৌর বিদ্যুতেই চলবে দেশে তৈরী গাড়ি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাত্র দুই বছরের প্রচেষ্টায় একইসঙ্গে তিনটি সুবিধাসম্পন্ন দেশের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। গবেষক দলের প্রধান রুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ভাবিত হাইব্রিড গাড়ির সুবিধাগুলো হলো- একইসঙ্গে ইলেকট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম। এর ফলে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় যানজটে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই শক্তি বা জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া আছে প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও। বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেয়া যাবে।

সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে এই প্রকল্পটি পান রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপক। এরপর ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয়। যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের সঙ্গে এই উদ্ভাবন কাজে অংশগ্রহণ করেন বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রশীদ।

এছাড়াও বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান, ওবায়দুল হাসান, তানভির রহমান, তরিকুল ইসলাম ও ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হক ফরিদ সর্বাত্মক শ্রম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, পোর্টেবল ডিভাইসের মতো এই প্রযুক্তিটি এখন যেকোনো গাড়ির সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। মূলত একটি পরিত্যক্ত গাড়ি ব্যবহার করে হাইব্রিড গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহীর একটি গ্যারেজ থেকে গাড়িটি সংগ্রহ করা হয়।

গতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া একবার চার্জ হলে জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই একটানা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা সম্ভব।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

গবেষকদের ব্যাটারি দিয়ে সহযোগিতা করেছে Gaston নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এখন জ্বালানি ব্যবহার কিভাবে কমানো যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বে যত জ্বালানি আছে শেষ হয়ে যাবে।

তাই আমরা এমন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছি যা জ্বালানি ব্যবহার কমাবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। কারণ এই গাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জ্বালানি কম খরচ হবে। একইসঙ্গে একটি পরিত্যক্ত গাড়িকে সহজেই ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর