উপাচার্য ছাড়াই চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বাঙালী কন্ঠঃ পাঁচ মাস উপাচার্য ছাড়াই চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধ রয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির মিটিং ও সিণ্ডিকেট সভা। আটকে আছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। লাগামছাড়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।

শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলনের মুখে উপাচার্য এস এম ইমামুল হককে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক প্রয়োজনে ১১ এপ্রিল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়।

একই দিন তার কার্যকালের মেয়াদও শেষ হয়। ২৬ মে থেকে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ট্রেজারার এ কে এম মাহবুব হাসান নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এদিকে ৭ অক্টোবর শেষ হচ্ছে ট্রেজারারের চাকরির চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ। এ অবস্থায় ১৮ ও  ১৯ অক্টোবর  স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন উপাচার্য বা ট্রেজারার নিয়োগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা এখনো জানা যায়নি।

ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কি না এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। উপাচার্যহীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্সের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় তিনটি ইউনিটে ১৪৪০ আসনের বিপরীতে ৪৯৯৫৬ জনের  আবেদন জমা পড়েছে। ফরম বিতরণ ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ অবস্থায়  উপাচার্য কিংবা ট্রেজারার ছাড়া এ ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জরুরি ভিত্তিতে নতুন উপাচার্য  ও ট্রেজারারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ববির আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, উপাচার্য এস এম ইমামুল হককে ছুটিতে পাঠানোর পর থেকেই ট্রেজারার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি অনেক সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। ৭ অক্টোবর ট্রেজারারের মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে। পূর্ণকালীন উপাচার্য না থাকায় উন্নয়নমূলক খাতগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাও হুমকির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত পদক্ষেপ আশা করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর