বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর সাঁকোটি যেন এখানকার বাসিন্দাদের জন্য জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরতে হয় এখানকার লোকজনকে। প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের জন্য নদী পারাপারে একটি সাঁকোই ভরসা। সকাল হলেই শত শত লোকের লাইন হয় পারাপারের জন্য। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ দু’পাড়ের বাসিন্দাদের এ সমস্যা যেন দীর্ঘদিনের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময়ের খরস্রোতা বলেশ্বর নদ এখন মরতে বসেছে। ফলে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নদীটি। এ কারণে একমাত্র সাঁকো দিয়েই লোকজনকে পারাপার হতে হয়।
আশপাশের কয়েক গ্রামের লোকজন মিলে বলেশ্বর নদীতে দীর্ঘ প্রায় ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের এ সাঁকোটি তৈরি করেছেন। যা দিয়ে উপজেলার বাওয়ালীপাড়া, অশোকনগর, কৃষ্ণনগর, খাসেরহাট, গরিবপুরসহ ও পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর উপজেলার তারাবুনিয়া, দীঘিরজান, পূর্ববানীয়ারী, পশ্চিমবানিয়ারী, কুমারখালী, সিংখালীসহ দু’পাড়ের প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের মানুষজন চলাচল করে। ফলে সকাল হলেই দীর্ঘ লাইন হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ দু’পাড়ের বাসিন্দাদের। কৃষিপণ্যসহ সব ধরনের মালামাল পারাপারে দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। এ ছাড়া জরুরি রোগীদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার পথে এ সাঁকো পারাপার সবচেয়ে বড় বাধা। ফলে অনেক রোগী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে এখানেই প্রাণ হারায়। উপজেলার চরবানিয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সেতু মণ্ডল, সোনালী মণ্ডল, সাগতী রায়, বিনা মণ্ডলসহ অনেক ছাত্রছাত্রী জানায়, প্রতিদিন এই সাঁকো পার হয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় এখানে পারাপারে লাইন লেগে থাকে। ফলে ঠিকমতো ক্লাস ধরা যায় না। এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, সাঁকোটির কারণে দু’পাড়ের লোকজনের পারাপারে দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে নানাভাবে তদারকি করা হচ্ছে।