রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে চিনি ও রসুনের দাম

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে চিনি ও চীন থেকে আমদানি করা রসুনের দাম। বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতি কেজি চিনি দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হয়।

রসুন বিক্রি হয় পাঁচ টাকা বাড়তি দরে। এদিন সব ধরনের সবজি ও চাল চড়া দামে বিক্রি হয়। রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, এক কেজি চিনি তারা ৬৪-৬৭ টাকা বিক্রি করছেন; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬২-৬৫ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২১৫ টাকা।

নয়াবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বর্তমানে আদা-রসুন আসছে না। যে কারণে আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতারা বেশি দরে বিক্রি করছেন। সেক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে এনে আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে চিনির সরবরাহ কমে গেছে। মিলগেটে চিনির দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারণে পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে; যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

এদিকে গত মাস থেকে বাড়তি দরে সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে। আমন মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করলেও কমার কোনো লক্ষণ নেই। বৃহস্পতিবার বাজারগুলোতে মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণ চাল বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা।

নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয় ৪৫-৫০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানায়, এক মাস ধরে স্বর্ণা চাল কেজিতে ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি দরে। আর পাইজাম চাল কেজিতে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চালের কোনো সংকট নেই। তারপরও মিলাররা সব ধরনের চাল বাড়তি দরে বিক্রি করছেন। যে কারণে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কমছে না। কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি শসা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা; যা গত সপ্তাহে একই দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।

প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। দেশি পাকা টমেটো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। একটু বড় আকারের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

একটু ভালো মানের শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। মাঝারি আকারের প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর