বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মার বয়স হয়েছে। মাঝে মাঝে পাগলামি করে। এটা-ওটা নষ্ট করে। তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা আরকি। তবে সব সময় না। মাঝে মাঝে খুলে দেই।’
নিজের ছেলে আর ছেলের বউয়ের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়েছেন সাতক্ষীরার ৭০ বছরের বৃদ্ধা মাতা জানু পারভিন। যখন ছেলে এসে তার মায়ের পায়ে শিকল বেঁধে দেয় তখন শিশুর মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে জানু পারভিন।
প্রতিবেশীরা জানান, জানু পারভিন ভোরে তাদের ছেলে-মেয়েদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে। দরজায় টোকা দিয়ে শিশু-তরুণদের নামাজ পড়তে যেতে বলে। জানু বেগমের ডাকে তাদের ঘুম ভাঙ্গে।
কিন্তু জানু বেগমের ছেলে শফিকুলের দাবি, বেঁধে না রাখলে তার মা দরজায় এসে যখন তখন আঘাত করে। এতে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের বাল্লক ওরফে পুটে গাজীর বিধবা স্ত্রী জানু পারভিন।
তার পাঁচ ছেলে এক মেয়ে । বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মেয়ে শশুরবাড়িতে থাকে। অন্য সব ছেলে ও ছেলের স্ত্রীরা ভালো ব্যবহার করে জানুর সঙ্গে। কেবল মেজ ছেলে শফিকুল ও তার স্ত্রী তার ওপর কঠোর আচরণ করে।
মাঝে মাঝে তারা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথা বলে। মাঝে মাঝে পাঠায় আবার নিয়েও আসে। হঠাৎ হঠাৎ বাড়ির মধ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এভাবে চলছে দিনের পর দিন।
শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান জানান, আমরা এ দৃশ্য আর দেখতে চাই না। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) নুর হোসেন সজল বলেন, আমার কাছে এ খবর এসেছে। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন অমানবিক আচরণ কোনো সন্তান তার মায়ের প্রতি করতে পারে না।