বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে গ্রামবাসী এক এক গার্মেন্টকর্মীকে আটক করে। আটক গার্মেন্টকর্মীকে পুলিশে না দিয়ে গ্রাম্য সালিসে জুতার মালা পরিয়ে বেত্রাঘাত করে বিচার শেষ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতব্বরেরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিল। এ সময় নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে পোশাক কারখানর শ্রমিক আনোয়ার হোসেন তারই চাচাতো বোনের মেয়ে ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রীটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আনোয়ারকে গণধোলাই দিয়ে অবচেতন করে ফেলে রাখে। পরে চৌকিদারের পাহারায় বিনা চিকিৎসায় এক ঘরে আটকে রাখা হয় আনোয়ারকে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাতেই বিষয়টি জানার পর সোমবার সকালে গ্রাম্য সালিসের সময় নির্ধারণ করেন। থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার সকালে হাজারো মানুষ জড়ো হয় নয়াপাড়া বাজারে। প্রকাশ্যে সালিসে আনোয়ার তার দোষ স্বীকার করলে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে জুতাপেটার নির্দেশ দেন। এরপর তার ঘোষিত রায় মতো জুতার মালা গলায় পড়িয়ে আনোয়ারকে ঘুরানো হয় পুরো গ্রামে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রী তার নানা বাড়ি থেকে পড়া লেখা করছিল। স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই আনোয়ার রাস্তায় ওই মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে আসছিল। তাই গ্রামবাসীকে নিয়ে বিচার করছি। বিচার করা কোন অপরাধ নয়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানানো হয়নি। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে রাত ৯টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।