কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন।
জোড্ডার উত্তর ইউনিয়নের সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রায় খালি হয়ে গেছে। উপজেলার অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও মানুষজন কমতে শুরু করেছে।
শাহরাস্তি উপজেলার চিতৌষী পূর্ব ও চিতৌষী পশ্চিম ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের চার হাজার পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়। চিতৌষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের কবির বাহাদুর বলেন, তাঁর ইউনিয়নে এখনো চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০০ পরিবার অবস্থান করছে। চাঁদপুরে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেগুলোতে ছয় হাজার ২৫২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যার পানি একেবারে নেমে গেছে। এসব এলাকার ঘরে ফেরা বন্যার্তরা এখন ত্রাণ নয়, ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার মতো সহায়তা চায়।
নোয়াখালী : জেলা শহরে এখনো হাঁটু পানি, ডুবে আছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। মূলত খাল-নালা দখল ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজব্যবস্থার কারণে নামছে না বন্যার পানি। পানি না কমায় জেলার আট উপজেলায় এক হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেশির ভাগ মানুষই নিজ ঘরে ফিরতে পারেনি। উল্টো অনেকের ঘরে জমা পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ হয়ে পড়ায় গতকাল সেনবাগ ও বেগমগঞ্জের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে কিছু লোক নতুন করে যোগ হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছে, জেলা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইসলামিয়া খাল, ছাগলমারা খাল, গাবুয়া খাল ও দত্তেরহাট খাল দিয়ে সদর উপজেলার পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু এসব খাল অবৈধ দখল হওয়া ও খাল খননে অনিয়মের কারণে বন্যার পানি নামছে না। তা ছাড়া শহরেও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা নেই।
গতকাল বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই বানভাসিরা থাকছে। তারা জানায়, নিজেদের ঘরে এখনো হাঁটু পানি, কবে যে ফিরতে পারবে, তা জানে না। কাঁচা ঘরগুলো পানিতে ধসে খুবই নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ির হাঁস-মুরগি সব মরে গেছে। পুরুষ সদস্যরা মাঝে মাঝে নৌকা দিয়ে বাড়িঘর দেখে আসেন।
সেনবাগের ছাতারপাইয়া স্কুলে গতকালও কয়েকটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরই একজন কৃষক সলিম উল্যা জানান, তাঁর ঘরের পানি সামান্য একটু কমেছে। পানি খারাপ হওয়ায় গায়ে চুলকানি শুরু হয়েছে। অবস্থা খারাপ দেখে তিনি পরিবার নিয়ে এখানে উঠেছেন।