ঢাকা , শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা পূর্বাভাস বুঝতে না পারায় ক্ষতি বেশি

আরও ভয়াল রূপ ধারণ করেছে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বাড়ছে প্রাণহানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিভারি বৃষ্টি এবং সতর্ক না করেই উজান থেকে ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যার পূর্বাভাস ঠিকমতো পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি আট গুণ কমানো সম্ভব হতো। পূর্বাভাসের ভাষা মানুষ বুঝতে পারে না। তাই তারা বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে ভাষা পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা।

কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান কালবেলাকে বলেন, গত ৪ অক্টোবর ভোর রাতে শেরপুর জেলা ও তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে রাতারাতি নদনদীর পানি দ্রুত বেড়ে যায়। পরে উজানের পানি ভাটিতে নেমে আসে এবং আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে। রোববার দুপুর থেকে শেরপুরের উজানে পানি কমা শুরু হয়েছে। ভাটিতে পানি এখনো বাড়ছে। নেত্রকোনা জেলার কিছু কিছু এলাকায় এখনো পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে নেত্রকোনাতেও পানি কমতে পারে।

তিনি বলেন, শেরপুর ও ময়মনসিংহে বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সোমবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। জামালপুরেও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সেখানেও পানি কমতে পারে।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত কালবেলাকে বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষে অক্টোবরের প্রথমে বন্যার অনেক ইতিহাস আছে। এ বছর দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পরপরই নিম্নচাপ থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এটার জন্য আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে কিছুটা দায়ী করতে পারি। দিনে দিনে এই অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে। ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা কিংবা আসামের পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে বৃষ্টিটা হয়, সেখানে গাছপালা নেই। পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। কাজের খুব দ্রুত পানি চলে আসে। এসব কিছু মিলিয়ে বন্যা ও বন্যার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

তিনি বলেন, বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যার পূর্বাভাস পানি উন্নয়ন বোর্ড দেয়। পূর্বাভাস ভালো কিন্তু তা সতর্কীকরণে রূপান্তর করা হয় না। এর আগে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীতে বন্যা হলো, সে সময় ভারতে বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লিতে এ বছর বহুবার ইয়েলো ও রেল অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমাদের এখানে বলা হয়, হালকা ধরনের মাঝারি বৃষ্টি, ভারি বৃষ্টি, অতিভারি বৃষ্টি ইত্যাদি। ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারি বৃষ্টি বলা হয়। কিন্তু এখন তো ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অমুক নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে কি আমার বাড়িতে ঢুকবে, রাস্তায় পানি উঠবে, কী ক্ষতি হবে—তা মানুষ বুঝতে পারে না।

আইনুন নিশাত বলেন, এখন পূর্বাভাস যে ভাষায় দেওয়া হয়, সেটা কেবল পেশাজীবীরা বুঝতে পারে। আমি বুঝতে পারি যে বন্যা, বৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে কোন কথায় কী বলা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা বোঝে না। এটা ঔপনিবেশিক আমলের উত্তরাধিকার। এখনো আমরা সেটা অনুসরণ করে যাচ্ছি। গত ৫০ বছর ধরে তারা একই ভাষায় লিখছে, কেউ শোনেও না। তবে মন দিয়ে শুনলে বোঝা যেত কী হচ্ছে। আমাকে লাল রঙ দেখালে বুঝতে পারব আমাকে কী করতে হবে। এখানে উন্নতি করার ব্যাপার আছে। পূর্বাভাসের পাশাপাশি সতর্কতাও জারি করতে হবে সঠিকভাবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে।

এবারের বন্যার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে অতিবৃষ্টি, উজান থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া, আগাম সতর্কতা না থাকা বন্যার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ায় একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে গরম, শীত, বৃষ্টি, বন্যা যা হচ্ছে সেটিই চরমভাবে হচ্ছে। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে যেমন দোষ দেই তেমনি একই সঙ্গে অভিন্ন জলরাশির ব্যাপারে সমঝোতা না থাকাও বড় কারণ। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাঁধগুলো নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘসময় ধরে মেরামত না করার কারণও বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রভাব থেকে বাঁচতে আঞ্চলিক পর্যায়েও সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। কারণ, কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত উজানে হচ্ছে, কখন পানি ছেড়ে দেওয়া হবে, এগুলোর ওপর আগাম সতর্কতার বিষয়ে সমঝোতা না থাকলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এর প্রভাব মোকাবিলা কষ্টকর হয়ে যাবে।

এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাইলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল এবং আঞ্চলিক পর্যায় দুটিই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বন্যা পূর্বাভাস বুঝতে না পারায় ক্ষতি বেশি

আপডেট টাইম : ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

আরও ভয়াল রূপ ধারণ করেছে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বাড়ছে প্রাণহানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিভারি বৃষ্টি এবং সতর্ক না করেই উজান থেকে ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যার পূর্বাভাস ঠিকমতো পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি আট গুণ কমানো সম্ভব হতো। পূর্বাভাসের ভাষা মানুষ বুঝতে পারে না। তাই তারা বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে ভাষা পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা।

কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান কালবেলাকে বলেন, গত ৪ অক্টোবর ভোর রাতে শেরপুর জেলা ও তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে রাতারাতি নদনদীর পানি দ্রুত বেড়ে যায়। পরে উজানের পানি ভাটিতে নেমে আসে এবং আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে। রোববার দুপুর থেকে শেরপুরের উজানে পানি কমা শুরু হয়েছে। ভাটিতে পানি এখনো বাড়ছে। নেত্রকোনা জেলার কিছু কিছু এলাকায় এখনো পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে নেত্রকোনাতেও পানি কমতে পারে।

তিনি বলেন, শেরপুর ও ময়মনসিংহে বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সোমবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। জামালপুরেও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সেখানেও পানি কমতে পারে।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত কালবেলাকে বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষে অক্টোবরের প্রথমে বন্যার অনেক ইতিহাস আছে। এ বছর দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পরপরই নিম্নচাপ থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এটার জন্য আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে কিছুটা দায়ী করতে পারি। দিনে দিনে এই অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে। ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা কিংবা আসামের পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে বৃষ্টিটা হয়, সেখানে গাছপালা নেই। পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। কাজের খুব দ্রুত পানি চলে আসে। এসব কিছু মিলিয়ে বন্যা ও বন্যার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

তিনি বলেন, বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যার পূর্বাভাস পানি উন্নয়ন বোর্ড দেয়। পূর্বাভাস ভালো কিন্তু তা সতর্কীকরণে রূপান্তর করা হয় না। এর আগে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীতে বন্যা হলো, সে সময় ভারতে বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লিতে এ বছর বহুবার ইয়েলো ও রেল অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমাদের এখানে বলা হয়, হালকা ধরনের মাঝারি বৃষ্টি, ভারি বৃষ্টি, অতিভারি বৃষ্টি ইত্যাদি। ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারি বৃষ্টি বলা হয়। কিন্তু এখন তো ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অমুক নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে কি আমার বাড়িতে ঢুকবে, রাস্তায় পানি উঠবে, কী ক্ষতি হবে—তা মানুষ বুঝতে পারে না।

আইনুন নিশাত বলেন, এখন পূর্বাভাস যে ভাষায় দেওয়া হয়, সেটা কেবল পেশাজীবীরা বুঝতে পারে। আমি বুঝতে পারি যে বন্যা, বৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে কোন কথায় কী বলা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা বোঝে না। এটা ঔপনিবেশিক আমলের উত্তরাধিকার। এখনো আমরা সেটা অনুসরণ করে যাচ্ছি। গত ৫০ বছর ধরে তারা একই ভাষায় লিখছে, কেউ শোনেও না। তবে মন দিয়ে শুনলে বোঝা যেত কী হচ্ছে। আমাকে লাল রঙ দেখালে বুঝতে পারব আমাকে কী করতে হবে। এখানে উন্নতি করার ব্যাপার আছে। পূর্বাভাসের পাশাপাশি সতর্কতাও জারি করতে হবে সঠিকভাবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে।

এবারের বন্যার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে অতিবৃষ্টি, উজান থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া, আগাম সতর্কতা না থাকা বন্যার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ায় একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে গরম, শীত, বৃষ্টি, বন্যা যা হচ্ছে সেটিই চরমভাবে হচ্ছে। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে যেমন দোষ দেই তেমনি একই সঙ্গে অভিন্ন জলরাশির ব্যাপারে সমঝোতা না থাকাও বড় কারণ। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাঁধগুলো নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘসময় ধরে মেরামত না করার কারণও বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রভাব থেকে বাঁচতে আঞ্চলিক পর্যায়েও সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। কারণ, কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত উজানে হচ্ছে, কখন পানি ছেড়ে দেওয়া হবে, এগুলোর ওপর আগাম সতর্কতার বিষয়ে সমঝোতা না থাকলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এর প্রভাব মোকাবিলা কষ্টকর হয়ে যাবে।

এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাইলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল এবং আঞ্চলিক পর্যায় দুটিই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।