ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে ডক্টরেট করতে রিক্সা চালাচ্ছেন মা

নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করার কারণে বাপেরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে আগেই। স্বামী কাজ করেন একটি ওষুধের দোকানে। অভাবের সংসার হলেও স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাননি সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়। ছেলেকে ডক্টরেট করার উদ্দেশ্যে নিজেই টোটো রিকশা নিয়ে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। সংসারে যতোই অভাব আসুন ছেলেকে ডক্টরেট করতেই হবে। এটাই এখন মূল লক্ষ্য বছর ৪৫-এর গৃহবধূ সুচিত্রাদেবীর।

 

বাঁকুড়ার সানবাধ এলাকায় স্বামী এবং এক ছেলেকে নিয়ে সংসার সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়ের। এলাকায় ‘পুতুন দি’ নামে পরিচিত সুচিত্রাদেবী একসময় রাজনীতিতেও অংশ নিয়েছিলেন। দলের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ক্ষমতা পাওয়ার মাস দুয়েক পরেই পদত্যাগ করেন বাঁকুড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে। যদিও দল ফরওয়ার্ড ব্লক সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করায় শেষ করতে হয়েছিল সম্পূর্ণ মেয়াদ। ছেলে অভিষেক এবং স্বামী শান্তি মুখোপাধ্যায় প্রথমে আপত্তি করেছিলেন তাঁর টোটো রিকশা চালানো নিয়ে। পরে অবশ্য বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হন। অভিষেক এখন বাঁকুড়ার পাঁচমুড়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। অঙ্কে অনার্সে নিয়েছে সে। তাঁর কথায়, “পড়া শেষ করেই মায়ের পাশে দাঁড়াব।” শান্তিবাবু বলেছেন, “পুতুনের সমস্যার কারণেই প্রথমে টোটো রিকশা চালানো নিয়ে আপত্তি করেছিলাম।” ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে আজ প্রায় তিন মাস ধরে নিত্য দিন টোটো রিকশা চালাচ্ছেন বাঁকুড়ার ‘পুতুন দি’।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ছেলেকে ডক্টরেট করতে রিক্সা চালাচ্ছেন মা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০১৬
নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করার কারণে বাপেরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে আগেই। স্বামী কাজ করেন একটি ওষুধের দোকানে। অভাবের সংসার হলেও স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাননি সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়। ছেলেকে ডক্টরেট করার উদ্দেশ্যে নিজেই টোটো রিকশা নিয়ে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। সংসারে যতোই অভাব আসুন ছেলেকে ডক্টরেট করতেই হবে। এটাই এখন মূল লক্ষ্য বছর ৪৫-এর গৃহবধূ সুচিত্রাদেবীর।

 

বাঁকুড়ার সানবাধ এলাকায় স্বামী এবং এক ছেলেকে নিয়ে সংসার সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়ের। এলাকায় ‘পুতুন দি’ নামে পরিচিত সুচিত্রাদেবী একসময় রাজনীতিতেও অংশ নিয়েছিলেন। দলের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ক্ষমতা পাওয়ার মাস দুয়েক পরেই পদত্যাগ করেন বাঁকুড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে। যদিও দল ফরওয়ার্ড ব্লক সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করায় শেষ করতে হয়েছিল সম্পূর্ণ মেয়াদ। ছেলে অভিষেক এবং স্বামী শান্তি মুখোপাধ্যায় প্রথমে আপত্তি করেছিলেন তাঁর টোটো রিকশা চালানো নিয়ে। পরে অবশ্য বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হন। অভিষেক এখন বাঁকুড়ার পাঁচমুড়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। অঙ্কে অনার্সে নিয়েছে সে। তাঁর কথায়, “পড়া শেষ করেই মায়ের পাশে দাঁড়াব।” শান্তিবাবু বলেছেন, “পুতুনের সমস্যার কারণেই প্রথমে টোটো রিকশা চালানো নিয়ে আপত্তি করেছিলাম।” ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে আজ প্রায় তিন মাস ধরে নিত্য দিন টোটো রিকশা চালাচ্ছেন বাঁকুড়ার ‘পুতুন দি’।