বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গগণে সাদা মেঘ দেখি না তো আর, শরৎ ঋতু ধীরে ধীরে লয়েছে বিদায়। মাঠে মাঠে ধরে আছে সোনার ধান, লক্ষণ ভান্ডারীর কবিতার এ পঙক্তিগুলো হেমন্তের বাংলার চিরচেনা রূপ।
শুধু কবির কবিতায় নয় কৃষকের মাঠে মাঠে এখন দেখা যাচ্ছে আমনের সবুজ ধানী চারা। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে ফসলের ক্ষেত এখন রোপা আমন ধানের সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন এই সময়ে আমন ধানী ফসলের চারাতে পোকার আক্রমন দেখা দিতো। এখন পার্চিং পদ্ধতিতে এবং আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা দমন সহজ হয়েছে। এতে করে আমাদের অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। রাসায়নিক সারের দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই এখন জৈব সার উৎপাদন করে জমিতে প্রয়োগ করেও উপকার পাচ্ছেন বলে কৃষকরা জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, অর্থ বছরে সদরে আমনের লক্ষামাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫ শত ৪৫ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ৬ শ হেক্টর জমি। রোপা আমন ধানের সবুজে এখন ভরে উঠেছে মাঠ ঘাট। এখন পর্যন্ত রোপা আমনের জমিতে কোন পোকা পাকড় দেখা যায়নি। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তবে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।