ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রডের বদলে কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাই, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ এখন খসে পড়ছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রডের বদলে কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাই! ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ এখন খসে পড়ছে। ১৯৯৬ সালে নির্মিত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮৩নং টঙ্গিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র এমনই। এতে আতঙ্কে রয়েছে বিদ্যালয়ের ২৭২ জন শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর আগেই দুটি কক্ষে খসে পড়ে আস্তর। ছাদের আস্তর খসে পড়ায় ভেসে উঠছে রডের পাশাপাশি কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের চিত্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি ছাদে জমে আছে, আর চুয়ে চুয়ে পানি পড়ছে ক্লাসে। পানির সঙ্গে ছাদের নিচের অংশে ফাটল। শুরু হয়েছে আস্তর খসে পড়া। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের চাহিদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নতুন ভবন হচ্ছে না।

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের দুটি ভবন। ২০০৯-১০ সালে নির্মিত ভবন দুই কক্ষবিশিষ্ট। নাম মেঘনা ভবন। ১৯৯৬ সালে নির্মিত ভবনের নাম ডাকাতিয়া ভবন। এই ভবনে চারটি কক্ষ। এখানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস হয়। কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে ক্লাস নিতে হয়। এবার আর ক্লাস নেয়া সম্ভব না।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অহিদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিককে বলেন, একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবন বরাদ্দ হচ্ছে না। খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সারা দেশে এখন প্রাকৃতিক দুযোর্গ চলছে। যে কোনো মুহূতে এই বিদ্যালয়ে বিপর্যয় হতে পারে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসিকুর, সাব্বির হোসেন ও তানজিম হায়দার বলেন, বৃষ্টির পানি বইতে পড়ে। সকালে এসে দেখি ছাদের আস্তর ভেঙে পড়েছে। এই ভবনে ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে।

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন সাংবাদিককে বলেন, ওই ভবনে ক্লাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তারপরও প্রধান শিক্ষক কক্ষ না থাকায় ওই ভবনে ক্লাস নিচ্ছেন। মঙ্গলবারে হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। শিগগির নতুন ভবন বরাদ্দ হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

কাঠের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সবকটি ভবনই অনিয়ম হয়েছে। ওই সালে নির্মিত সব ভবন প্রায় পরিত্যক্ত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রডের বদলে কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাই, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ এখন খসে পড়ছে

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রডের বদলে কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাই! ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ এখন খসে পড়ছে। ১৯৯৬ সালে নির্মিত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮৩নং টঙ্গিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র এমনই। এতে আতঙ্কে রয়েছে বিদ্যালয়ের ২৭২ জন শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর আগেই দুটি কক্ষে খসে পড়ে আস্তর। ছাদের আস্তর খসে পড়ায় ভেসে উঠছে রডের পাশাপাশি কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের চিত্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি ছাদে জমে আছে, আর চুয়ে চুয়ে পানি পড়ছে ক্লাসে। পানির সঙ্গে ছাদের নিচের অংশে ফাটল। শুরু হয়েছে আস্তর খসে পড়া। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের চাহিদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নতুন ভবন হচ্ছে না।

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের দুটি ভবন। ২০০৯-১০ সালে নির্মিত ভবন দুই কক্ষবিশিষ্ট। নাম মেঘনা ভবন। ১৯৯৬ সালে নির্মিত ভবনের নাম ডাকাতিয়া ভবন। এই ভবনে চারটি কক্ষ। এখানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস হয়। কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে ক্লাস নিতে হয়। এবার আর ক্লাস নেয়া সম্ভব না।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অহিদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিককে বলেন, একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবন বরাদ্দ হচ্ছে না। খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সারা দেশে এখন প্রাকৃতিক দুযোর্গ চলছে। যে কোনো মুহূতে এই বিদ্যালয়ে বিপর্যয় হতে পারে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসিকুর, সাব্বির হোসেন ও তানজিম হায়দার বলেন, বৃষ্টির পানি বইতে পড়ে। সকালে এসে দেখি ছাদের আস্তর ভেঙে পড়েছে। এই ভবনে ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে।

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন সাংবাদিককে বলেন, ওই ভবনে ক্লাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তারপরও প্রধান শিক্ষক কক্ষ না থাকায় ওই ভবনে ক্লাস নিচ্ছেন। মঙ্গলবারে হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। শিগগির নতুন ভবন বরাদ্দ হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

কাঠের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সবকটি ভবনই অনিয়ম হয়েছে। ওই সালে নির্মিত সব ভবন প্রায় পরিত্যক্ত।