ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদিনের আগ্রহী হয়ে উঠছেন পাট চাষিরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাবনার বেড়ায় পাট চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। অধিক উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়ার আশায় বেড়া উপজেলায় কৃষকরা এবার দুই হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন। গত মৌসুমে বেড়া উপজেলায় দুই হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। এবার পাট চাষ করা হয়েছে গত মৌসুমের চেয়ে ৪২০ হেক্টর বেশি জমিতে। বাংলদেশের উর্বর মাটিতে পাট চাষের ইতিহাস অনেক পুরনো।

ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার কৃষকের জমিতে পাট চাষ করতে হলে সরকারের নির্ধারিত অফিস থেকে অনুমতি নিতে হতো। তৎকালীন সময়ে পাট চাষ ইংরেজ সরকার মনিটরিং করতো এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে তারা তাদের ব্যবহার্য পণ্য তৈরি করতো। তখন থেকেই বাংলার পাটের সুনাম ছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একমাত্র কৃষিপণ্য ছিল পাট।

এজন্যই পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় পৃথিবীতে বিকল্প বস্তুর উদ্ভব ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকায় পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের জায়গাগুলো কৃত্রিম তন্তু দখল করে নেয়। পরিবেশের ওপর কৃত্রিম তন্তুর বিরুপ প্রভাবের কারণে সারা বিশ্ব এখন পাটজাতদ্রব্য ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদসহ কৃত্রিম তন্তুজাত দ্রব্য পরিহারে সজাগ হয়ে উঠেছে।

বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দে জানান, পাট মৌসুমে অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে পাট চাষের খরচ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়ে থাকে। বেড়ার পাট চাষিরা এবার উন্নতমানের বেশি ফলনশীল জেআর ও ৫২৪ জাতের পাট বেশি চাষ করেছেন। এ জাতের পাটে হেক্টর প্রতি প্রায় ১২ বেল বা প্রায় ৬০ মণ আঁশ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছর বেড়া উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২০ বেল পাট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সুদিনের আগ্রহী হয়ে উঠছেন পাট চাষিরা

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাবনার বেড়ায় পাট চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। অধিক উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়ার আশায় বেড়া উপজেলায় কৃষকরা এবার দুই হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন। গত মৌসুমে বেড়া উপজেলায় দুই হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। এবার পাট চাষ করা হয়েছে গত মৌসুমের চেয়ে ৪২০ হেক্টর বেশি জমিতে। বাংলদেশের উর্বর মাটিতে পাট চাষের ইতিহাস অনেক পুরনো।

ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার কৃষকের জমিতে পাট চাষ করতে হলে সরকারের নির্ধারিত অফিস থেকে অনুমতি নিতে হতো। তৎকালীন সময়ে পাট চাষ ইংরেজ সরকার মনিটরিং করতো এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে তারা তাদের ব্যবহার্য পণ্য তৈরি করতো। তখন থেকেই বাংলার পাটের সুনাম ছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একমাত্র কৃষিপণ্য ছিল পাট।

এজন্যই পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় পৃথিবীতে বিকল্প বস্তুর উদ্ভব ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকায় পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের জায়গাগুলো কৃত্রিম তন্তু দখল করে নেয়। পরিবেশের ওপর কৃত্রিম তন্তুর বিরুপ প্রভাবের কারণে সারা বিশ্ব এখন পাটজাতদ্রব্য ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদসহ কৃত্রিম তন্তুজাত দ্রব্য পরিহারে সজাগ হয়ে উঠেছে।

বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দে জানান, পাট মৌসুমে অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে পাট চাষের খরচ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়ে থাকে। বেড়ার পাট চাষিরা এবার উন্নতমানের বেশি ফলনশীল জেআর ও ৫২৪ জাতের পাট বেশি চাষ করেছেন। এ জাতের পাটে হেক্টর প্রতি প্রায় ১২ বেল বা প্রায় ৬০ মণ আঁশ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছর বেড়া উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২০ বেল পাট।