ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরাঞ্চলে চাষাবাদে ১২০০ কোটি টাকা আয় সম্ভব

দেশের ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর বালুযুক্ত চরাঞ্চলে চাষাবাদ করে বছরে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এমন তথ্য জানিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে চিলমারী উপজেলার বহ্মপুত্রের রমনা চরাঞ্চলে প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ভূমিহীনদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র এলাকায় চরাঞ্চলে বালুর যে স্তর আছে, সেখানে বালুর নীচে চাষ করার যে পদ্ধতি সেটি কার্যকরী হয়েছে। এটি সার্বজনীন একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর চরের বালু জায়গা রয়েছে তা কাজে লাগানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় যারা ভূমিহীন তাদের কাজে লাগাতে পারলে দেশের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আয়ের একটি পথ তৈরি হবে।’

পরে উপাচার্য রমনা বাঁধ এলাকায় জেলার ভূমিহীন ২ হাজার ৫০০ পরিবারের ১১ হাজার ২৫০ জন সদস্যের মাঝে নিউট্রেশনের প্যাকেজ বিতরণের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আনোয়ারুল হক, প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান ও প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসাইন, প্রাকটিক্যাল অ্যাকশনের নিউট্রেশন ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও ম্যানেজার নির্মল চন্দ্র ব্যাপারী প্রমুখ।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন তার সহযোগী সংগঠন ইউডিপিএস এর মাধ্যমে ও ইউএসএআইডি এর সহায়তায় সিকিউরিং ওয়াটার ফর ফুড প্রকল্পের আওতায় ৯৯৬ ভূমিহীন দারিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২৫৮ হেক্টর পতিত বালু চরে অংশগ্রহণভিত্তিক বাণিজ্যিক মডেলে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে। এছাড়া ইউকেএইড ফান্ডের সহায়তায় পাম্পাকিন এগেনেস্ট প্রোভাট্রি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ১০১ জন ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২০০ হেক্টর বালুচরে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চরাঞ্চলে চাষাবাদে ১২০০ কোটি টাকা আয় সম্ভব

আপডেট টাইম : ০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

দেশের ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর বালুযুক্ত চরাঞ্চলে চাষাবাদ করে বছরে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এমন তথ্য জানিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে চিলমারী উপজেলার বহ্মপুত্রের রমনা চরাঞ্চলে প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ভূমিহীনদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র এলাকায় চরাঞ্চলে বালুর যে স্তর আছে, সেখানে বালুর নীচে চাষ করার যে পদ্ধতি সেটি কার্যকরী হয়েছে। এটি সার্বজনীন একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর চরের বালু জায়গা রয়েছে তা কাজে লাগানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় যারা ভূমিহীন তাদের কাজে লাগাতে পারলে দেশের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আয়ের একটি পথ তৈরি হবে।’

পরে উপাচার্য রমনা বাঁধ এলাকায় জেলার ভূমিহীন ২ হাজার ৫০০ পরিবারের ১১ হাজার ২৫০ জন সদস্যের মাঝে নিউট্রেশনের প্যাকেজ বিতরণের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আনোয়ারুল হক, প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান ও প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসাইন, প্রাকটিক্যাল অ্যাকশনের নিউট্রেশন ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও ম্যানেজার নির্মল চন্দ্র ব্যাপারী প্রমুখ।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন তার সহযোগী সংগঠন ইউডিপিএস এর মাধ্যমে ও ইউএসএআইডি এর সহায়তায় সিকিউরিং ওয়াটার ফর ফুড প্রকল্পের আওতায় ৯৯৬ ভূমিহীন দারিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২৫৮ হেক্টর পতিত বালু চরে অংশগ্রহণভিত্তিক বাণিজ্যিক মডেলে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে। এছাড়া ইউকেএইড ফান্ডের সহায়তায় পাম্পাকিন এগেনেস্ট প্রোভাট্রি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ১০১ জন ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২০০ হেক্টর বালুচরে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করছে।