ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক শ্যামল কান্তির জামিন

একটি ঘুষের মামলায় কারাবন্দি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল  দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে এ জামিন প্রদান করা হয়।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালত আমাদের নথিপত্র ও বাদী পক্ষের নথিপত্র যাচাই বাছাই ও যুক্তি শুনে শ্যামল কান্তি ভক্তকে আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রদান করেছেন।
শ্যামল কান্তির স্ত্রী সবিতা হালদার জানান, আমি প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির কাছে এ মামলা থেকে শ্যামল কান্তিকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। আমার স্বামীকে যাতে আর কোনো হয়রানি না করা হয় সে দাবিও রাখছি। প্রসঙ্গত গত বছরের ১৩ই মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবসের ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ই জুলাই এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত (২০১৭ সালের) ১৭ই এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪শে  ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরো ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে আরো ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু সে শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের দরখাস্ত কোনো  স্থানেই প্রেরণ করেনি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ই মে কোনো টাকা নেননি বলে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার ভূমি তদন্তও করেছেন। গত ২৪শে মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন শ্যামল কান্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শিক্ষক শ্যামল কান্তির জামিন

আপডেট টাইম : ০২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭

একটি ঘুষের মামলায় কারাবন্দি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল  দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে এ জামিন প্রদান করা হয়।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালত আমাদের নথিপত্র ও বাদী পক্ষের নথিপত্র যাচাই বাছাই ও যুক্তি শুনে শ্যামল কান্তি ভক্তকে আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রদান করেছেন।
শ্যামল কান্তির স্ত্রী সবিতা হালদার জানান, আমি প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির কাছে এ মামলা থেকে শ্যামল কান্তিকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। আমার স্বামীকে যাতে আর কোনো হয়রানি না করা হয় সে দাবিও রাখছি। প্রসঙ্গত গত বছরের ১৩ই মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবসের ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ই জুলাই এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত (২০১৭ সালের) ১৭ই এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪শে  ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরো ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে আরো ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু সে শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের দরখাস্ত কোনো  স্থানেই প্রেরণ করেনি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ই মে কোনো টাকা নেননি বলে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার ভূমি তদন্তও করেছেন। গত ২৪শে মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন শ্যামল কান্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।