ঢাকা , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের বিশ্বস্ত সহযোগী তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশ্বস্ত সহযোগী মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

আবেদনে বলা হয়, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা আফতাবসহ অন্যান্যর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবির বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এতে বলা হয়, তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটা বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। তার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে- তৌফিকা আফতাব অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের বিশ্বস্ত সহযোগী তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট টাইম : ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশ্বস্ত সহযোগী মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

আবেদনে বলা হয়, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা আফতাবসহ অন্যান্যর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবির বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এতে বলা হয়, তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটা বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। তার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে- তৌফিকা আফতাব অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।