বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রীক্ষায় ভাল নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে প্রতিদিন ধর্ষণ করতেন স্কুলের শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে জোর করানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ধর্ষক শিক্ষক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের সিকার জেলার একটি বেসরকারি স্কুলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক জগৎ সিং গুজ্জর ও ও ডিরেক্টর জগদীশ যাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৮ বছরের ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করাতে গিয়ে তার শরীর ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ওই ছাত্রীকে স্কুলের পরও বাড়তি ক্লাস করার নাম করে ওই শিক্ষক ও পরিচালক ডাকতেন। সে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হতো। তবে ঘটনার ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি ছাত্রী। কিন্তু আগস্ট মাসে গর্ভবতী হয়ে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
জগৎ ও জগদীশ মিলেই তাকে চিকিৎসার নাম করে জেলার বাইরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনও কিছু জানতে পারেনি ওই ছাত্রীর পরিবার। ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জয়পুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, গর্ভপাত করানো হয়েছে ওই ছাত্রীর। এরপরই পুলিশের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ঘটনার পর ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। তাদেও বিক্ষোভের পরই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্কুলটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।