টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামি টাঙ্গাইলের-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। বেলা ১১টায় ভারপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়।
জামিন আবেদনের শুনানিতে সরকারপক্ষে পিপি আলমগীর খান মেনু ও আসামিপক্ষে আইনজীবী আবদুল বাকি, অ্যাডভোকেট লিটনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্প্রতি চার্জশীট জমা দেয়ার পর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ মামলার অন্য ১০ আসামি হলেন- কবির হোসেন, আনিছুল ইসলাম (রাজা), মোহাম্মদ আলী, সমীর ও ফরিদ আহমেদ, এমপি রানার দারোয়ান বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন (চান), নাসির উদ্দিন (নুরু), ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক পৌর কমিমুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় এমপি রানা কারাগারেশনার মাছুদুর রহমান। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী, সমীর, ফরিদ ও আনিছুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদেও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের সঙ্গে এমপি রানা ও তার ভাইয়েরা জড়িত বলে তথ্য দেন। এরপর থেকেই এমপি রানা এবং তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।