ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার বন্ধে হাইকোর্টে আবেদন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলবে বলে বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেও বিচারকাজ চলবে বলে গত ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন বিচারিক আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ওই আদেশ দেন।

ওই আদেশে বিচারিক আদালত বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বলেছেন, তিনি বারবার আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর এবং আজও (২০ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়া কারাগার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তিনি আদালতে আসতে পারবেন না। অর্থাৎ আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক। অথচ মামলার দুই আসামি প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এমন অবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে জামিনে রেখে বিচার চলবে।

প্রসঙ্গত, এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করে।

এই মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরইমধ্যে তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির যুক্তিতর্ক শুনানি বাকি রয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার বন্ধে হাইকোর্টে আবেদন

আপডেট টাইম : ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলবে বলে বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেও বিচারকাজ চলবে বলে গত ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন বিচারিক আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ওই আদেশ দেন।

ওই আদেশে বিচারিক আদালত বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বলেছেন, তিনি বারবার আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর এবং আজও (২০ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়া কারাগার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তিনি আদালতে আসতে পারবেন না। অর্থাৎ আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক। অথচ মামলার দুই আসামি প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এমন অবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে জামিনে রেখে বিচার চলবে।

প্রসঙ্গত, এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করে।

এই মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরইমধ্যে তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির যুক্তিতর্ক শুনানি বাকি রয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।