দুই যুগ আগে ব্যুরো আমলে করা দুর্নীতির মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের করা আপিলের ফের রায় ঘোষণা করেনি হাইকোর্ট।
রায় ঘোষণার আগে মামলার নথিপত্র দেখে আদালত বলেন, এরশাদের আপিল ছাড়াও সরকারের আরো দুটি আপিল এই মামলায় বিচারাধীন রয়েছে মর্মে দেখা যাচ্ছে। ওই দুটি আপিলে সরকার এরশাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে।
এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের সাজার রায় বাতিলের জন্য এরশাদ যে আবেদন করেছেন শুধু সেটির ওপর রায় ঘোষণা করলে তা যুক্তি সঙ্গত হবে না। অতএব ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনটি আপিলের ওপর এক সঙ্গে শুনানি করে রায় দেয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। এই বিবেচনায় তিনটি আপিলের ওপর প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হল।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এ সময় এরশাদের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
খুরশিদ আলম খান বলেন, প্রধান বিচারপতি এখন যে বেঞ্চে আপিল শুনানির জন্য পাঠাবেন, সেখানেই এ তিন আপিলের ওপর এক সঙ্গে শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে। মামলায় ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের সাজা দেয়। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ। আপিলটি দুই যুগ ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। দুদক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানায়। এরপর ওই আপিলেল ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।