ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইসাইকেলে স্কুলে যায় ছাত্রীরা

সব সমালোচনাকে জয় করে চিরিরবন্দরের বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা বাইসাইকেলে যাতায়াত করায় এলাকায় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় গ্রামের মেয়েদের বাইসাইকেল চালানোর দৃশ্য জন্ম দিত নানা সমালোচনার। সেই সমালোচনাকে জয় করে চিরিরবন্দরের মেয়েরা এখন স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, অফিস ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় বাইসাইকেলে যাতায়াত করছে। দিন দিন বাড়ছে তাদের সংখ্যা। লুত্ফর রহমান শাহ নামে এক অভিভাবক বলেন, দূরের রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও ভালোমানের স্কুল হওয়ায় বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছি। মেয়ে প্রতিদিন বাইসাইকেলে যাতায়াত করে। মোস্তারিনা ও মেহেরুন নামে দুই ছাত্রী জানায়, আমরা ছয় কিলোমিটার দূর থেকে বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি। প্রচুর বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় শুধু সমস্যা হয়। এমনিতে স্কুলের পোশাক থাকায় রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা হয় না। প্রধান শিক্ষক প্রায়ই রাস্তায় মোটরসাইকেলে টহল দেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার শতাধিক মেয়ে শিক্ষার্থী প্রতিদিন বাইসাইকেলে যাতায়াত করে। চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রিমি আকতার ও অনন্যা আফরিন নামে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী জানায়, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ও পিতামাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আট কিলোমিটার দূরের রাজাপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে গত পাঁচ বছর ধরে বাইসাইকেলে স্কুলে আসা-যাওয়া করি। তবে পথে প্রতিনিয়ত বখাটে ছেলেরা আমাদের সাইকেলের পিছু নেওয়ায় ও বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা এবং অঙ্গভঙ্গি করায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। একই অভিযোগ করে প্রায় প্রতিটি মেয়ে শিক্ষার্থী। চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহতাবউদ্দিন সরকার বলেন, ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের এ সময়টাতে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা টহল জোরদার করলে বখাটেদের উপদ্রব কমে যেতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাইসাইকেলে স্কুলে যায় ছাত্রীরা

আপডেট টাইম : ০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭

সব সমালোচনাকে জয় করে চিরিরবন্দরের বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা বাইসাইকেলে যাতায়াত করায় এলাকায় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় গ্রামের মেয়েদের বাইসাইকেল চালানোর দৃশ্য জন্ম দিত নানা সমালোচনার। সেই সমালোচনাকে জয় করে চিরিরবন্দরের মেয়েরা এখন স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, অফিস ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় বাইসাইকেলে যাতায়াত করছে। দিন দিন বাড়ছে তাদের সংখ্যা। লুত্ফর রহমান শাহ নামে এক অভিভাবক বলেন, দূরের রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও ভালোমানের স্কুল হওয়ায় বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছি। মেয়ে প্রতিদিন বাইসাইকেলে যাতায়াত করে। মোস্তারিনা ও মেহেরুন নামে দুই ছাত্রী জানায়, আমরা ছয় কিলোমিটার দূর থেকে বেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি। প্রচুর বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় শুধু সমস্যা হয়। এমনিতে স্কুলের পোশাক থাকায় রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা হয় না। প্রধান শিক্ষক প্রায়ই রাস্তায় মোটরসাইকেলে টহল দেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার শতাধিক মেয়ে শিক্ষার্থী প্রতিদিন বাইসাইকেলে যাতায়াত করে। চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রিমি আকতার ও অনন্যা আফরিন নামে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী জানায়, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ও পিতামাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আট কিলোমিটার দূরের রাজাপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে গত পাঁচ বছর ধরে বাইসাইকেলে স্কুলে আসা-যাওয়া করি। তবে পথে প্রতিনিয়ত বখাটে ছেলেরা আমাদের সাইকেলের পিছু নেওয়ায় ও বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা এবং অঙ্গভঙ্গি করায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। একই অভিযোগ করে প্রায় প্রতিটি মেয়ে শিক্ষার্থী। চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহতাবউদ্দিন সরকার বলেন, ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের এ সময়টাতে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা টহল জোরদার করলে বখাটেদের উপদ্রব কমে যেতে পারে।