বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা না দিয়ে বর্ধিত হারে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য চাঁদা হিসেবে অর্থ কেটে নেয়া যুক্তিযুক্ত হবে না মর্মে মন্তব্য করেন সাবেক শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান। ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা দিলে বর্ধিত চাঁদা নিয়ে শিক্ষকরা বিরোধীতায় নামতেন না হয়তো।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রধান উপদেষ্টা এন আই খান রোববার (১৬ জুলাই) বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকরা একই বই পড়ান। বেসরকারি শিক্ষকরা একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতন স্কেলের শতভাগ পান কিন্তু বাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা, উৎসবভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় পান না। সরকারি শিক্ষকদের যদি ফি বছর বেতন-ভাতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয় তবে বেসরকারি শিক্ষকদেরটা কেন হবে না?
বৈশাখী ভাতার বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত উদ্যোগে চালু হয়েছে। কেউ কোনও দিন বৈশাখী ভাতার দাবি করেননি। সেই বৈশাখী ভাতা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা পেলে বেসরকারি শিক্ষকরা পাবেন না কেন? কেন উদ্যোগ নেয়া হয় না?
অবসর ও কল্যাণের বর্ধিত চাঁদা নিয়ে সারাদেশের শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে এন আই খান বলেন, “৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা ছাড়া বর্ধিত চাঁদা কর্তন উচিত হবে না।” “বর্ধিত চাঁদার গেজেট স্থগিত করা উচিত।”
তবে, সব সমস্যার সমাধান সব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। শুধু উদ্যোগের অভাবে জাতীয়করণ দেরি হচ্ছে।