ঢাকা , রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি ফুড়ে অচেনা ফুল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় মাটি ফুড়ে বের হওয়া অচেনা ফুল নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র কৌতূহল দেখা দিয়েছে। উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের চরগুয়াগাঁতী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের বাড়ির পালানে সপ্তাহ দেড়েক আগে ফুলটির অঙ্কুর দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি প্রস্ফূটিত হয়ে পূর্ণাঙ্গ ফুলে রূপ নেয়। ফুলটি দৈর্ঘ্যে দেড় ফুট এবং প্রস্থে এক ফুট। সাদা ও বেগুনি মেশানো বাহারি রঙের এ ফুল খুবই আকর্ষণীয়। ফুলটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন প্রতি দিন নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু কেউই এ ফুলের নাম বলতে পারছেন না।
এরই মধ্যে ফুলটির সুরক্ষায় চারদিকে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। কৃষক নজরুল জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে তিনি তার পালানে মাটি ফুড়ে বের হওয়া বাঁশের চারার প্রাথমিক স্তরের মতো একটি অঙ্কুর দেখতে পান। এটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বড় হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুলে রূপ নেয়। এর কোনো পাতা নেই। শুধু কাণ্ডের সঙ্গে সাঁটা ফুল। তবে পাপড়ি আছে। তিনি ফুলটির পরিচর্যা করছেন। প্রতিদিন অনেক লোক দেখতে এলেও কেউই এ ফুলের নাম বলতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজমল হক জানান, কখনও কখনও মে মাসে মাটি ফেটে এমন ফুল বের হওয়ার নজির রয়েছে। ফুলটির প্রকৃত নাম তাদের জানা নেই। তবে মে মাসে এ ফুল ফোটে বলে এটিকে ‘মে ফুল’ বলা হয়ে থাকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মাটি ফুড়ে অচেনা ফুল

আপডেট টাইম : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় মাটি ফুড়ে বের হওয়া অচেনা ফুল নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র কৌতূহল দেখা দিয়েছে। উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের চরগুয়াগাঁতী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের বাড়ির পালানে সপ্তাহ দেড়েক আগে ফুলটির অঙ্কুর দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি প্রস্ফূটিত হয়ে পূর্ণাঙ্গ ফুলে রূপ নেয়। ফুলটি দৈর্ঘ্যে দেড় ফুট এবং প্রস্থে এক ফুট। সাদা ও বেগুনি মেশানো বাহারি রঙের এ ফুল খুবই আকর্ষণীয়। ফুলটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন প্রতি দিন নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু কেউই এ ফুলের নাম বলতে পারছেন না।
এরই মধ্যে ফুলটির সুরক্ষায় চারদিকে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। কৃষক নজরুল জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে তিনি তার পালানে মাটি ফুড়ে বের হওয়া বাঁশের চারার প্রাথমিক স্তরের মতো একটি অঙ্কুর দেখতে পান। এটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বড় হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুলে রূপ নেয়। এর কোনো পাতা নেই। শুধু কাণ্ডের সঙ্গে সাঁটা ফুল। তবে পাপড়ি আছে। তিনি ফুলটির পরিচর্যা করছেন। প্রতিদিন অনেক লোক দেখতে এলেও কেউই এ ফুলের নাম বলতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আজমল হক জানান, কখনও কখনও মে মাসে মাটি ফেটে এমন ফুল বের হওয়ার নজির রয়েছে। ফুলটির প্রকৃত নাম তাদের জানা নেই। তবে মে মাসে এ ফুল ফোটে বলে এটিকে ‘মে ফুল’ বলা হয়ে থাকে।