ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে গরমে কদর বেড়েছে দেশীয় পানি তালের

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: চলছে তীব্র দাবদাহ। জনজীবন অতিষ্ঠ। এই গরমে একটু স্বস্তির খাবারে খোঁজে থাকে মানুষ। তাই ঝালকাঠিতে এই গরমে কদর বেড়েছে দেশীয় পানি তালের।

সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধু মাসের ফল দেশীয় পানি তালের কদর রয়েছে বেশ। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় এই ফলটি। গরমের দিনে পিপাসাকাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় পানি তাল। এটি শরীর শীতল করে। এই ফলটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এতে নেই কোনো ভেজাল। ফরমালিনের ভয়ে যখন অন্য ফল মুখে দেয়া যায় না তখন নির্বিঘ্নে খেতে পারে সবাই এই দেশীয় পানি তাল।

জেলা শহর ঝালকাঠির চারটি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদম বিক্রি করছে এই দেশীয় পানি তাল। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাায় ঘুরে তাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

মৌসুমী ফল দেশিয় পানি তাল বিক্রেতা রুস্তুম জানান, প্রতি বছর মধু মাসে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দরে তাল কিনে তিনি বিক্রি করে থাকেন।

চলতি মৌসুমে দেশীয় তালের ফলন কম ও ছোট হওয়ায় তাল একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। প্রতি পিস তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।

বিক্রেতা সুমন বলেন, তালের বাজার কম হবে বলে মনে হয় না। তিনি জানান, এই ব্যবসা দুই এক মাসের জন্য স্থায়ী হয়ে থাকে। এতে তার প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হচ্ছে।

ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড, পৌরসভার গেট সংলগ্ন ও বড় বাজারের সামনে, রাজাপুর বাঘরি বাজার, বাইপাস চত্বরে সরেজমিনে দেখা যায় বিক্রেতারা তাল বিক্রি করছেন রিকশাচালক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার লোকজন হুমরি খাচ্ছেন তা কিনার জন্য। গ্রীষ্মের এই ফলটি খেতে গিয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। মোটামুটি সস্তায় নিরাপদ এই ফলটি খেতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠিতে গরমে কদর বেড়েছে দেশীয় পানি তালের

আপডেট টাইম : ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: চলছে তীব্র দাবদাহ। জনজীবন অতিষ্ঠ। এই গরমে একটু স্বস্তির খাবারে খোঁজে থাকে মানুষ। তাই ঝালকাঠিতে এই গরমে কদর বেড়েছে দেশীয় পানি তালের।

সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধু মাসের ফল দেশীয় পানি তালের কদর রয়েছে বেশ। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় এই ফলটি। গরমের দিনে পিপাসাকাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় পানি তাল। এটি শরীর শীতল করে। এই ফলটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এতে নেই কোনো ভেজাল। ফরমালিনের ভয়ে যখন অন্য ফল মুখে দেয়া যায় না তখন নির্বিঘ্নে খেতে পারে সবাই এই দেশীয় পানি তাল।

জেলা শহর ঝালকাঠির চারটি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদম বিক্রি করছে এই দেশীয় পানি তাল। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাায় ঘুরে তাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

মৌসুমী ফল দেশিয় পানি তাল বিক্রেতা রুস্তুম জানান, প্রতি বছর মধু মাসে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দরে তাল কিনে তিনি বিক্রি করে থাকেন।

চলতি মৌসুমে দেশীয় তালের ফলন কম ও ছোট হওয়ায় তাল একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। প্রতি পিস তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।

বিক্রেতা সুমন বলেন, তালের বাজার কম হবে বলে মনে হয় না। তিনি জানান, এই ব্যবসা দুই এক মাসের জন্য স্থায়ী হয়ে থাকে। এতে তার প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হচ্ছে।

ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড, পৌরসভার গেট সংলগ্ন ও বড় বাজারের সামনে, রাজাপুর বাঘরি বাজার, বাইপাস চত্বরে সরেজমিনে দেখা যায় বিক্রেতারা তাল বিক্রি করছেন রিকশাচালক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার লোকজন হুমরি খাচ্ছেন তা কিনার জন্য। গ্রীষ্মের এই ফলটি খেতে গিয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। মোটামুটি সস্তায় নিরাপদ এই ফলটি খেতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।