ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুঃখ ঘুচবে দেড়শ গ্রামের মানুষের

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রতাপদহ হাসাইগাড়ী খালের পুনঃখনন শুরু হয়েছে। খনন শেষ হলে দেড়শ গ্রামের ৫০ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পাবে। সেচ খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে।

অন্যদিকে অকাল বন্যা থেকে রক্ষাসহ ফসল উৎপাদনে সারা বছর বিলে পানি প্রবাহ নিশ্চিত হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের সংস্থান হবে, বাড়বে মৌসুমী নানা প্রজাতির সবজি চাষ। এতে এলাকার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

প্রতাপদহ হাসাইগাড়ী খালটির অবস্থান নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ও দুবলহাটি ইউনিয়নের মাঝখানে। নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার ১৫টি ক্যানেল দিয়ে পানি আসে এ খালে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খালটি সংস্কার না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে  সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ফি বছর অকাল বন্যার শিকার হয়ে আসছে।

পানি নিস্কাশন ঠিকমত না হওয়ায় বর্ষাকালের আগেই পানিতে তলিয়ে থাকে বিস্তীর্ণ মাঠ। এ অবস্থায় খালের আশপাশের প্রায় ৫০হাজার হেক্টর জমির ধান উৎপাদন ব্যহত হয়।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ জরিপ করে চলতি বছর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় ভরাট হওয়া  এ খালের খনন কার্যক্রম শুরু করে।

স্থানীয় হাতাশ গ্রামের কৃষক আফতাব মোল্লা ও আব্দুল সর্দার জানান, অনেক দিন ধরে আমরা এ খাল খনন করার জন্য বলে আসছিলাম। এবার সে আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৭০লাখ টাকা ব্যয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে ১৫ কিলোমিটার এ খাল খনন কাজ  বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮ কিলোমিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাকী কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা।

স্থানীয় চোয়ারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশীদ জানান, এ খাল এলাকাবাসীর জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নওগাঁ সদর অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর  রহমান  জানান, খালের দু’ধারে রোপণ করা হবে দেশিয় ও ঔষধি জাতের বিভিন্ন গাছ। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরে আসবে।

 

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুঃখ ঘুচবে দেড়শ গ্রামের মানুষের

আপডেট টাইম : ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০১৬

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রতাপদহ হাসাইগাড়ী খালের পুনঃখনন শুরু হয়েছে। খনন শেষ হলে দেড়শ গ্রামের ৫০ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পাবে। সেচ খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে।

অন্যদিকে অকাল বন্যা থেকে রক্ষাসহ ফসল উৎপাদনে সারা বছর বিলে পানি প্রবাহ নিশ্চিত হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের সংস্থান হবে, বাড়বে মৌসুমী নানা প্রজাতির সবজি চাষ। এতে এলাকার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

প্রতাপদহ হাসাইগাড়ী খালটির অবস্থান নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ও দুবলহাটি ইউনিয়নের মাঝখানে। নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার ১৫টি ক্যানেল দিয়ে পানি আসে এ খালে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খালটি সংস্কার না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে  সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ফি বছর অকাল বন্যার শিকার হয়ে আসছে।

পানি নিস্কাশন ঠিকমত না হওয়ায় বর্ষাকালের আগেই পানিতে তলিয়ে থাকে বিস্তীর্ণ মাঠ। এ অবস্থায় খালের আশপাশের প্রায় ৫০হাজার হেক্টর জমির ধান উৎপাদন ব্যহত হয়।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ জরিপ করে চলতি বছর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় ভরাট হওয়া  এ খালের খনন কার্যক্রম শুরু করে।

স্থানীয় হাতাশ গ্রামের কৃষক আফতাব মোল্লা ও আব্দুল সর্দার জানান, অনেক দিন ধরে আমরা এ খাল খনন করার জন্য বলে আসছিলাম। এবার সে আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৭০লাখ টাকা ব্যয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে ১৫ কিলোমিটার এ খাল খনন কাজ  বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮ কিলোমিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাকী কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা।

স্থানীয় চোয়ারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশীদ জানান, এ খাল এলাকাবাসীর জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নওগাঁ সদর অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর  রহমান  জানান, খালের দু’ধারে রোপণ করা হবে দেশিয় ও ঔষধি জাতের বিভিন্ন গাছ। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরে আসবে।