ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠুক : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সকল শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠুক, জ্ঞানে-গুণে বড় হোক।
আগামীকাল ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের মাতৃদুগ্ধদানকারী সকল মা এবং দুগ্ধপানকারী শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ শিশুর জন্মগত অধিকার। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই যে মাতৃদুগ্ধ পায় তা তার জীবনীশক্তির জন্য অপরিহার্য। কেবল শিশু নয়, মায়ের জন্যও তা পরম আনন্দের, গর্বের। মাতৃদুগ্ধ পানের মধ্য দিয়ে নবজাতক যে তৃপ্তি পায় পৃথিবীর অন্য কোনো কৃত্রিম খাদ্যের মাধ্যমে তা পূরণ সম্ভব নয়। আবহমানকাল ধরে বাংলার মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ দিয়ে আসছেন। এটা গ্রামবাংলার চিরন্তন বৈশিষ্ট্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আধুনিকতার পাশাপাশি টিনজাত গুড়া দুধের প্রচারণার দৌরাত্ম্যে অনেক মা শিশুকে মাতৃদুগ্ধদানে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এর ফলে শিশু এবং মা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিশুস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এ বারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ এসডিজি ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সকল শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠুক : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০১৬
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সকল শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠুক, জ্ঞানে-গুণে বড় হোক।
আগামীকাল ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের মাতৃদুগ্ধদানকারী সকল মা এবং দুগ্ধপানকারী শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ শিশুর জন্মগত অধিকার। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই যে মাতৃদুগ্ধ পায় তা তার জীবনীশক্তির জন্য অপরিহার্য। কেবল শিশু নয়, মায়ের জন্যও তা পরম আনন্দের, গর্বের। মাতৃদুগ্ধ পানের মধ্য দিয়ে নবজাতক যে তৃপ্তি পায় পৃথিবীর অন্য কোনো কৃত্রিম খাদ্যের মাধ্যমে তা পূরণ সম্ভব নয়। আবহমানকাল ধরে বাংলার মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ দিয়ে আসছেন। এটা গ্রামবাংলার চিরন্তন বৈশিষ্ট্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আধুনিকতার পাশাপাশি টিনজাত গুড়া দুধের প্রচারণার দৌরাত্ম্যে অনেক মা শিশুকে মাতৃদুগ্ধদানে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এর ফলে শিশু এবং মা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিশুস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এ বারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ এসডিজি ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।