রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক ও মৌচাকে গতকাল ছিল উপচে পড়া ভিড়।
মারজিয়ার এই কথা এলাকার গাউছিয়া মার্কেট, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপারমার্কেটসহ এ ধরনের অনেক বিপণিবিতানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সে কারণেই গড়পড়তা মধ্যবিত্তের ভিড়টা এসব জায়গায়ই বেশি।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যাপক ক্রেতা উপস্থিতি থাকলেও মূল ভিড় শুরু হয় জুমার নামাজের পর। পূর্ব দিকের প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে পড়ে আড়ংয়ের শোরুম। বিকেল ৩টা নাগাদ সেখানে দেখা যায় গায়ে গা লাগা ভিড়। নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকান, অনলাইনে কেনাকাটায় পরিচিত হয়ে ওঠা পোশাকের দোকানের আউটলেট ও অন্যান্য দোকানে এদিন ছিল ব্যাপক ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল পোশাক আর জুতার দোকানে। এখানে প্রসাধনী ও গৃহসজ্জার দোকানে সে তুলনায় কিছুটা কম ভিড় ছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ দেখা যায় অনেক ক্রেতা কেনাকাটা করে ক্লান্ত হয়ে শপিং মলের এখানে ওখানে বসে পড়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই যে রোজা রেখেছিল তা হয়তো নিঃসন্দেহেই বলা যায়।
বসুন্ধরা শপিং মলের লেভেল ফোরে দেশী দশের কাছেই অন্যমেলার শোরুম। কথা হয় ফ্যাশন হাউসটির কর্ণধার মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার হিসেবে শপিং মলে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি আনন্দদায়ক। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে তাই ক্রেতারা কেনাকাটা দ্রুত সেরে নিচ্ছেন।’
মাজহারুল ইসলাম জানালেন, তাঁরা আরো বেশি বিক্রি আশা করেছিলেন, কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি তুলনামূলকভাবে কম। তাঁর মতে, পোশাকের দামে প্রভাব ফেলেছে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি। তার ওপর বাজারে খাদ্যপণ্য থেকে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম চড়া। তাই ব্যয় সংকোচন করছে অনেকে।
নারীদের সেলাইহীন পোশাকের দোকান চৈতীতে গতকাল ছিল সব পণ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়। সেখানে কথা হয় ফারজানা ইসলামের সঙ্গে। তিনি কেনাকাটা করতে এসেছিলেন আফতাবনগর থেকে। ফারজানা বললেন, ‘ঈদের অর্ধেক আনন্দ কেনাকাটাতেই। ভিড় হলেও কিনতে ভালো লাগছে।’ তবে দুটি অভিযোগও করলেন তিনি। একটি সেই ‘বেশি দাম’ নিয়েই। দ্বিতীয়টি হচ্ছে পোশাকের দোকানগুলোতে স্বস্তিতে কাপড় দেখার জন্য বসার ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে।