ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে নতুন নোট। যেখান থেকে মিলবে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার একটি করে বান্ডেল। মোট নেয়া যাবে ১৮ হাজার ৫০০ টাকার নতুন নোট।
ঈদ মানেই আনন্দ। খুশির বার্তা নিয়ে আসা ধর্মীয় বড় এই উৎসব উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন জামা-জুতোসহ সৌখিন নানা জিনিসপত্র।
তবে শিশু থেকে বৃদ্ধ-সব বয়সীদের ঈদ আনন্দের ষোলোকলা পূর্ণ হয় সেলামিতে। তবে সেলামিটা হওয়া চাই নতুন নোটে।
নতুন টাকা সংগ্রহে তাই অনেকে ছুটছেন গুলিস্তান বা মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায়। যেখানে গড়ে উঠেছে নতুন টাকার বাজার। পুরনো, ছেঁড়াফাটা নোট দিয়ে যেখান থেকে নেওয়া যায় নতুন নোট। সেসব টাকার নোট মিলছে রাজধানীতে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮০টি শাখাতেও।
যেখান থেকে পাওয়া যাবে ৫, ১০, ২০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট। একজন নিতে পারবেন একটি করে বান্ডেলে মোট ১৮ হাজার ৫০০ টাকার নতুন নোট। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে-ব্যাংকের এসব শাখা থেকে প্রতিদিন নতুন নোট নিতে পারবেন অন্তত ৯০ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, একজন ব্যক্তি ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের একটি করে প্যাকেট নিতে পারবে। সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ৫০০ টাকার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন তারা।
তবে নতুন নোট সরবরাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনাকে অপর্যাপ্ত বলছেন গ্রাহকরা। অভিযোগ, পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা মতো।
এক গ্রাহক বলেন, ছোট ভাই-বোনদের সেলামি দেয়ার জন্য এই নতুন নোটটা দরকার। চেয়েছিলাম ১০০ টাকার, কিন্তু দিতে পারেনি। আপাতত ২০০ টাকার একটা বান্ডেল দিয়েছে। আরেক গ্রাহক বলেন, ১০ টাকার দুটি এবং ২০ টাকার একটি বান্ডেল চেয়েছিলাম। কিন্তু দিতে পারেনি। আপাতত ১০০ ও ২০০ টাকার নোট দিয়েছে।
আরেক ক্রেতা বলেন, ১০০ বা ২০০ টাকা দিলে বাইরে থেকে বান্ডেল পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্নটা হলো তারা পেয়েছে কোথায়? নিশ্চয়ই সিস্টেম করে নিয়েছে। তবে আমরা তা করতে পারি না।
ঈদের খুশিতে নতুন নোট দিয়ে সবার সঙ্গে শরিক হতে চান ব্যাংকাররাও। কিন্তু সীমাবদ্ধতা সেখানেও।
উল্লেখ্য, ব্যাংক থেকে নোট পাওয়া যাবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।