ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছের সরবরাহ বেড়েছে, কমেছে ইলিশের দাম

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় বহির্নোঙরে মাছ শিকার চলছে। যে কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। মৌসুমে বেশি ইলিশ ধরা পড়ার কারণে বাজারে এ মাছটির দাম কমছে। শুক্রবার নগরীর বাজারগুলোতে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজির ছোট ইলিশ বিক্রি হয়েছে কেজি ৮০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

তবে কোরবানির পর থেকে বাজারে মাংসের চাহিদা কম থাকার কারণে সবজির দাম ছিল চড়া। বর্তমানে আলু, মিষ্টি কুমড়া ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম কেজি ৪০ টাকার উপরে। তবে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার কাঁচা মরিচ কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

বাজারে শীতকালীন আগাম সবজির মধ্যে বাধাকপি বিক্রি হয়েছে কেজি ৬০-৭০ টাকা ও শিম ১২০-১৪০ টাকায়। পাশাপাশি বরবটি, ঢেঁড়স, কাকরোল, বেগুন, তিতকরলা, মুলা, কচুর লতি বিক্রি হয়েছে কেজি ৫০ টাকা, পটল, কচুর চড়া, শসা, জালি কুমড়া, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকায়। পাশাপাশি কাঁচা মিষ্টি কুমড়ো ও কাঁচা মরিচ কেজি ৬০ টাকায় এবং টমেটো ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ২৫ টাকায়।

এদিকে বাজারে ছোট সাইজের কাতাল মাছ কেজি ২৪০-২৫০ টাকা, রুই ছোট ২৫০-২৬০ টাকা, বড় কাতলা ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সিলবার কার্প ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ টাকা, মলা আকারভেদে ৪০০-৬০০ টাকা, বাটা ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, বড় সাইজের দেশি বাইলা বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা কেজিতে।

অন্যদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্টা ১০০-১২০ টাকা, ফাইস্যা ১০০ টাকা পোয়া আকারভেদে ২৮০-৩৫০ টাকা, ছুরি মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, কালিচান্দা ৫০০-৫৫০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৬০০ টাকা, রূপচান্দা সাইজভেদে কেজি ৭০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘সাগরে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। তাই বাজারে সরবরাহও প্রচুর। দামও আগের চেয়ে অনেক কম।’ অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ১২০ টাকা, সোনালী (কক) ২৩০-২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মাছের সরবরাহ বেড়েছে, কমেছে ইলিশের দাম

আপডেট টাইম : ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় বহির্নোঙরে মাছ শিকার চলছে। যে কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। মৌসুমে বেশি ইলিশ ধরা পড়ার কারণে বাজারে এ মাছটির দাম কমছে। শুক্রবার নগরীর বাজারগুলোতে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজির ছোট ইলিশ বিক্রি হয়েছে কেজি ৮০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

তবে কোরবানির পর থেকে বাজারে মাংসের চাহিদা কম থাকার কারণে সবজির দাম ছিল চড়া। বর্তমানে আলু, মিষ্টি কুমড়া ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম কেজি ৪০ টাকার উপরে। তবে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার কাঁচা মরিচ কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

বাজারে শীতকালীন আগাম সবজির মধ্যে বাধাকপি বিক্রি হয়েছে কেজি ৬০-৭০ টাকা ও শিম ১২০-১৪০ টাকায়। পাশাপাশি বরবটি, ঢেঁড়স, কাকরোল, বেগুন, তিতকরলা, মুলা, কচুর লতি বিক্রি হয়েছে কেজি ৫০ টাকা, পটল, কচুর চড়া, শসা, জালি কুমড়া, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকায়। পাশাপাশি কাঁচা মিষ্টি কুমড়ো ও কাঁচা মরিচ কেজি ৬০ টাকায় এবং টমেটো ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ২৫ টাকায়।

এদিকে বাজারে ছোট সাইজের কাতাল মাছ কেজি ২৪০-২৫০ টাকা, রুই ছোট ২৫০-২৬০ টাকা, বড় কাতলা ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সিলবার কার্প ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ টাকা, মলা আকারভেদে ৪০০-৬০০ টাকা, বাটা ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, বড় সাইজের দেশি বাইলা বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা কেজিতে।

অন্যদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্টা ১০০-১২০ টাকা, ফাইস্যা ১০০ টাকা পোয়া আকারভেদে ২৮০-৩৫০ টাকা, ছুরি মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, কালিচান্দা ৫০০-৫৫০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৬০০ টাকা, রূপচান্দা সাইজভেদে কেজি ৭০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘সাগরে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। তাই বাজারে সরবরাহও প্রচুর। দামও আগের চেয়ে অনেক কম।’ অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ১২০ টাকা, সোনালী (কক) ২৩০-২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।