ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যথার সঙ্গে ঝিঁঝিঁ অবশ

কোমরের পেছন থেকে ঊরুর পেছন দিকে নেমে আসা তীব্র ব্যথার একটি কারণ সায়াটিকা। সায়াটিকা স্নায়ুতে চাপ পড়ার কারণে এই ব্যথা হয়। এই ব্যথা পশ্চােদশ হয়ে ঊরু ও পায়ের পেছন দিকে নেমে আসে, এমনকি হাঁটু বা গোড়ালি পর্যন্তও আসতে পারে। ব্যথার সঙ্গে ঝিঁঝিঁ অবশ অনুভূতিও থাকতে পারে। পায়ের পেশিশক্তি কমে যেতে পারে। একটু হাঁটাহাঁটি, ওজন বহন, হাঁচি-কাশিতে ব্যথাটা বাড়ে। কারণ অনুযায়ী সায়াটিকা ব্যথার চিকিত্সা করাতে হয়। ছোটখাটো ভঙ্গির ভুল, পেশির স্ট্রেইন বা আঘাতজনিত ব্যথা সাধারণ কিছু চিকিত্সায় সেরে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ে সমস্যা হলে শল্য চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে। ব্যথা কমাতে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেন। নিচু হয়ে বসবেন না বা কোনো কিছু তুলবেন না। নিচু নরম মোড়া বা আসনে বসা ঠিক নয়। উবু হয়ে কোনো কাজ করবেন না। ব্যথা কমাতে একবার আইস প্যাক এবং তারপর একবার গরম পানিতে ভেজা তোয়ালে হাঁটু ও ঊরুর পেছন দিক দিয়ে সেঁক দিতে পারেন। এতে কিছুটা আরাম হবে। চিত্ হয়ে শক্ত বিছানায় শোবেন। হাঁটুর নিচে একটা বালিশ দিয়ে শুতে পারেন। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক, পেশি শিথিলায়ক ওষুধ সেবন করা যায়। ব্যথা একটু কমলে চিকিত্সকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। ওষুধ বা ব্যায়ামে না সারলে প্রয়োজনে মেরুদণ্ডের শল্য চিকিত্সা করাতে হবে। বর্তমানে পারকিউটেনিয়াস এনডোস্কোপিক ডিস্কের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়া, অজ্ঞান না করে, সেলাইবিহীন সার্জারি করা হয়। এ ধরনের সার্জারির পর এক দিনেই রোগী বাড়ি ফিরতে পারেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন। ডা. মো. নুরুজ্জামান খান নিউরোসার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ব্যথার সঙ্গে ঝিঁঝিঁ অবশ

আপডেট টাইম : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭

কোমরের পেছন থেকে ঊরুর পেছন দিকে নেমে আসা তীব্র ব্যথার একটি কারণ সায়াটিকা। সায়াটিকা স্নায়ুতে চাপ পড়ার কারণে এই ব্যথা হয়। এই ব্যথা পশ্চােদশ হয়ে ঊরু ও পায়ের পেছন দিকে নেমে আসে, এমনকি হাঁটু বা গোড়ালি পর্যন্তও আসতে পারে। ব্যথার সঙ্গে ঝিঁঝিঁ অবশ অনুভূতিও থাকতে পারে। পায়ের পেশিশক্তি কমে যেতে পারে। একটু হাঁটাহাঁটি, ওজন বহন, হাঁচি-কাশিতে ব্যথাটা বাড়ে। কারণ অনুযায়ী সায়াটিকা ব্যথার চিকিত্সা করাতে হয়। ছোটখাটো ভঙ্গির ভুল, পেশির স্ট্রেইন বা আঘাতজনিত ব্যথা সাধারণ কিছু চিকিত্সায় সেরে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ে সমস্যা হলে শল্য চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে। ব্যথা কমাতে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেন। নিচু হয়ে বসবেন না বা কোনো কিছু তুলবেন না। নিচু নরম মোড়া বা আসনে বসা ঠিক নয়। উবু হয়ে কোনো কাজ করবেন না। ব্যথা কমাতে একবার আইস প্যাক এবং তারপর একবার গরম পানিতে ভেজা তোয়ালে হাঁটু ও ঊরুর পেছন দিক দিয়ে সেঁক দিতে পারেন। এতে কিছুটা আরাম হবে। চিত্ হয়ে শক্ত বিছানায় শোবেন। হাঁটুর নিচে একটা বালিশ দিয়ে শুতে পারেন। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক, পেশি শিথিলায়ক ওষুধ সেবন করা যায়। ব্যথা একটু কমলে চিকিত্সকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। ওষুধ বা ব্যায়ামে না সারলে প্রয়োজনে মেরুদণ্ডের শল্য চিকিত্সা করাতে হবে। বর্তমানে পারকিউটেনিয়াস এনডোস্কোপিক ডিস্কের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়া, অজ্ঞান না করে, সেলাইবিহীন সার্জারি করা হয়। এ ধরনের সার্জারির পর এক দিনেই রোগী বাড়ি ফিরতে পারেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন। ডা. মো. নুরুজ্জামান খান নিউরোসার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ