বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা একটি রসাল ক্যাকটাস জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। চার হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতির কল্যাণে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উন্নত প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে আরো ব্যাপকহারে বিভিন্নভাবে এর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। দুনিয়াজুড়ে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে অ্যালোভেরা একটি পরিচিত নাম।
তাজা অ্যালোভেরা ছাড়াও প্রসেস করা অ্যালোভেরা জেল, জুস, লোশন সাবান ও তেল ইত্যাদি বিভিন্ন অবস্থায় এটি ব্যবহৃত হয়। মেয়েদের রূপচর্চায় এর কদর বেশি। তাই মেয়েদের কমবেশি সবাই এ সম্পর্কে জানে। তবে অ্যালোভেরা নানাভাবে ব্যবহার করা যায় এবং বিভিন্ন রকমের গুণাগুণে ভরপুর এই ভেষজ উদ্ভিদ। জেনে নিন কয়েকটি ব্যবহার।
পোড়া ঘায়ে ব্যবহার : পোড়া ঘায়ে এর ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। কোথাও পুড়ে গেলে, অ্যালোভেরা গাছ থেকে একটা রসালো পাতা নিয়ে তার সবচেয়ে পুরু অংশের, দুই পাশের সবুজ খোসা ছাড়িয়ে, নিংড়ে ভেতরের সামান্য জেল বের করতে হবে। এ জেল পোড়া অংশে লাগিয়ে আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ঘষলে ব্যথা ক্রমেই সেরে যায়। দিনে দুইবার করে কয়েক দিন অ্যালোজেল মাখলে ঘা আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসে ও পোড়া চামড়া তার আগের রঙ ফিরে পায়। চামড়ার কাটাছেঁড়া ও ঘষা খাওয়া নিরাময়ে এবং চামড়ায় র্যাশ হলেও অ্যালোভেরায় বেশ উপকার হয়।
ত্বকের সৌন্দর্যচর্চা : ত্বকের সৌন্দর্যচর্চায় অ্যালোভেরার কোনো বিকল্প নেই। অ্যালোজেলের ছোঁয়ায় ত্বক কোমল, মসৃণ, উজ্জ্বল ও টানটান হয়ে ওঠে। অ্যালোভেরায় আছে হরেক ধরনের ভিটামিন ও ২০ ধরনের খনিজ পদার্থ। অ্যালোজেল এসব উপাদানসহ এতটাই সমৃদ্ধ যে, ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন আঁশগুলো পুনর্গঠিত করে ত্বককে করে সুন্দর, শক্ত ও আকর্ষণীয়। অ্যালোজেল অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে। অ্যালোজেল বার্ধক্য নিরোধক হিসেবে কাজ করে ও বয়স ধরে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
ব্রণের দাগ নির্মূল : এটি ব্যবহারে মুখের ব্রণ ও দাগ নির্মূল হয়। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করলে মাথায় চুলের পরিমাণ বেড়ে চুলপড়া মাথায় সৌন্দর্য বাড়ায়।
অ্যালোভেরার রস পান : নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে পেটের অনেক সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে অনেক বেশি কার্যকর। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা একটি প্রয়োজনীয় ভেষজ উদ্ভিদ। বিভিন্ন উপকারে তা কাজে লাগে। আমাদের প্রত্যেকের বাসায় অন্তত একটি অ্যালোভেরা গাছ থাকা দরকার। একজন হিতকর বন্ধুর মতো বিশেষ সম্পদ হিসেবে নীরবে পাশে থেকে সাহায্য করবে এটি। ইনডোর প্লান্ট হিসেবেও এটি একই সঙ্গে বাসার শোভাবর্ধন করতে পারে। অ্যালোভেরার কোনো তুলনা নেই।