ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপির একটি পাওয়া গেল মিশরে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপিগুলোর একটি পাওয়া গেছে মিশরে। হিজাজি হরফে লেখা ৩২ পৃষ্ঠার কোরআনটি রাখা হয়েছে মিশরের জাতীয় লাইব্রেরিতে। খবর রয়টার্সের।

কেমন ছিলো ইসলামের প্রথম সময়ের কোরআন? যেন তারই ধারণা দিচ্ছে মিসরের জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত এই পাণ্ডুলিপি। হিজাজি হরফে লেখা হয়েছে এ পাণ্ডুলিপি। গবেষকরা বলছেন, কোরআনের একদম শুরুর দিকের হরফ এটি। কপিটিতে রয়েছে ৩২টি পাতা, যা মূলত পশুর প্রক্রিয়াজাত চামড়া।

পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর মালাক নশি মালাক জানান, হাদিদি কালি ব্যবহারে অনেক পুরোনো হিজাজি হরফে লেখা হয়েছে কোরআনটি। এর পাতাগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত প্রক্রিয়াজাত চামড়া। যা ‘রিক’ হিসেবে পরিচিত।

উদ্ধারকৃত এ পাণ্ডুলিপির বয়স প্রায় ইসলামের বয়সেরই সমান, তেমনই বলছেন গবেষকরা। বলছেন, কোরআনটি লেখা হয়েছিল হিজরি সাল গণনার শুরুর দিকেই। আধুনিক ক্যালেন্ডারের হিসেবে পাণ্ডুলিপিটির বয়স দাঁড়ায় প্রায় ১৪শ বছর।

মালাক আরও জানান, খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে এটি লেখা হয়েছিলো। অর্থাৎ, হিজরি সাল গণনা শুরুর একেবারে প্রথম দিকে লেখা একটি কোরআনের পান্ডুলিপি এটি। মিশর তো বটেই, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা হয়তো পুরো বিশ্বেরই সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের কপিগুলোর একটি হবে এই পাণ্ডুলিপিটি।

এছাড়া, বার্মিংহাম, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যেও সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কৃত কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো ৭টি কপি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপির একটি পাওয়া গেল মিশরে

আপডেট টাইম : ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপিগুলোর একটি পাওয়া গেছে মিশরে। হিজাজি হরফে লেখা ৩২ পৃষ্ঠার কোরআনটি রাখা হয়েছে মিশরের জাতীয় লাইব্রেরিতে। খবর রয়টার্সের।

কেমন ছিলো ইসলামের প্রথম সময়ের কোরআন? যেন তারই ধারণা দিচ্ছে মিসরের জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত এই পাণ্ডুলিপি। হিজাজি হরফে লেখা হয়েছে এ পাণ্ডুলিপি। গবেষকরা বলছেন, কোরআনের একদম শুরুর দিকের হরফ এটি। কপিটিতে রয়েছে ৩২টি পাতা, যা মূলত পশুর প্রক্রিয়াজাত চামড়া।

পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর মালাক নশি মালাক জানান, হাদিদি কালি ব্যবহারে অনেক পুরোনো হিজাজি হরফে লেখা হয়েছে কোরআনটি। এর পাতাগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত প্রক্রিয়াজাত চামড়া। যা ‘রিক’ হিসেবে পরিচিত।

উদ্ধারকৃত এ পাণ্ডুলিপির বয়স প্রায় ইসলামের বয়সেরই সমান, তেমনই বলছেন গবেষকরা। বলছেন, কোরআনটি লেখা হয়েছিল হিজরি সাল গণনার শুরুর দিকেই। আধুনিক ক্যালেন্ডারের হিসেবে পাণ্ডুলিপিটির বয়স দাঁড়ায় প্রায় ১৪শ বছর।

মালাক আরও জানান, খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে এটি লেখা হয়েছিলো। অর্থাৎ, হিজরি সাল গণনা শুরুর একেবারে প্রথম দিকে লেখা একটি কোরআনের পান্ডুলিপি এটি। মিশর তো বটেই, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা হয়তো পুরো বিশ্বেরই সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের কপিগুলোর একটি হবে এই পাণ্ডুলিপিটি।

এছাড়া, বার্মিংহাম, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যেও সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কৃত কোরআনের সবচেয়ে পুরোনো ৭টি কপি।