বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩০ বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে ইসরাইল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে তাদের হাতে জিম্মি আরও ১০ ইসরাইলিকে। এ ছাড়া দুই বিদেশি নাগরিককেও মুক্ত করে দিয়েছে হামাস।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩০ নারী ও শিশু। খবর আলজাজিরার।
এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধ বিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরাইলিকে। ফিলিস্তিনিরা আশা প্রকাশ করে যে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে একটি বড় অভিযানের সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাসপাতাল ঘেরাও করেছে এবং মেডিকেল টিমের কাজ অবরুদ্ধ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্তসংলগ্ন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। হামলার দিন হামাস ইসরাইল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার পর ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের অবিরাম হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকায়। এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরাইলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।
ইসরাইলি বাহিনীর টানা ৪৮ দিন হামলার পর কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরাইল।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়াতে রাজি হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ।
যুদ্ধবিরতির এই সময়ে প্রতিদিন দুই পক্ষ তাদের হাতে বন্দি অনেক জিম্মিকে ছেড়ে দেয়। সর্বশেষ দুই পক্ষে ৪২ জিম্মি মুক্ত হলো।