ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার চেয়েও শক্তিশালী বোমা আছে ইরানের

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইরানের হাতে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অপারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা আছে। এ ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ।

ইরানের টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ১০ টনের এ বোমাকে ‘সব বোমার পিতা’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ জানান, মারাত্মক ধ্বংসক্ষমতা সম্পন্ন বোমাটি ইলিউশিন বিমান থেকে ফেলা যাবে।

মার্কিন ম্যাসিভ অরডিন্যান্স এয়ার ব্ল্যাস্ট বা সংক্ষেপে এমওএবি জিবিইউ-৪৩ /বি’ সাথে তুলনা করে এ কথা বলেন তিনি। এটি ‘মাদার অব অল বোম্বস’ বা ‘সব বোমার জননী’ নামেও পরিচিত। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে এটি ফেলেছিল আমেরিকা।

ইরানের তৈরি এ বোমার শক্তি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটির সমান। নাম থেকেই বোঝা যায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে আকাশে। ২২ হাজার পাউন্ড বা নয় হাজার আট শ’ কিলোগ্রাম বোমা বিস্ফোরণের প্রাথমিক প্রভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। চারপাশে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই বিস্ফোরণ তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে।

‘একের পর এক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করছে ইসরাইল’
পরমাণু প্রযুক্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের দ্বৈত নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। সেইসাথে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের পরমাণু সহযোগিতা বন্ধ করার জন্যও আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

ভিয়েনায় জাতিসঙ্ঘের পরমাণু তদারকি বিষয়ক সংস্থা আইএইএ’র সদর দফতরে এই সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ত্রৈমাসিক সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ আহ্বান জানান ইরানের রাষ্ট্রদূত রেজা নাজাফি। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নাজাফি বলেন, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সব সময় তীব্র আতঙ্কের মধ্যে থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি আইএইএ’র প্রতি আহ্বান জানান।

নাজাফি আরো বলেন, ইসরাইলের পরমাণু বিজ্ঞানীরা পশ্চিমা পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোর পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। অথচ যেসব দেশ পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে সই করেছে তেল আবিব সেসব দেশের শান্তিপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের হত্যা করছে। ইসরাইলের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে একথা বলেন আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত রেজা নাজাফি।

ইসরাইলের কাছে প্রায় চার শ’টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। তেল আবিব কখনো তার কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকার খবর স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। আইএইএ বিশ্বের সব দেশের পরমাণু কর্মসূচিতে নজরদারি করলেও ইসরাইলের কোনো পরমাণু স্থাপনায় এখন পর্যন্ত পরিদর্শক পাঠাতে পারেনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আমেরিকার চেয়েও শক্তিশালী বোমা আছে ইরানের

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইরানের হাতে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অপারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা আছে। এ ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ।

ইরানের টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ১০ টনের এ বোমাকে ‘সব বোমার পিতা’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ জানান, মারাত্মক ধ্বংসক্ষমতা সম্পন্ন বোমাটি ইলিউশিন বিমান থেকে ফেলা যাবে।

মার্কিন ম্যাসিভ অরডিন্যান্স এয়ার ব্ল্যাস্ট বা সংক্ষেপে এমওএবি জিবিইউ-৪৩ /বি’ সাথে তুলনা করে এ কথা বলেন তিনি। এটি ‘মাদার অব অল বোম্বস’ বা ‘সব বোমার জননী’ নামেও পরিচিত। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে এটি ফেলেছিল আমেরিকা।

ইরানের তৈরি এ বোমার শক্তি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটির সমান। নাম থেকেই বোঝা যায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে আকাশে। ২২ হাজার পাউন্ড বা নয় হাজার আট শ’ কিলোগ্রাম বোমা বিস্ফোরণের প্রাথমিক প্রভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। চারপাশে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই বিস্ফোরণ তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে।

‘একের পর এক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করছে ইসরাইল’
পরমাণু প্রযুক্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের দ্বৈত নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। সেইসাথে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের পরমাণু সহযোগিতা বন্ধ করার জন্যও আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

ভিয়েনায় জাতিসঙ্ঘের পরমাণু তদারকি বিষয়ক সংস্থা আইএইএ’র সদর দফতরে এই সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ত্রৈমাসিক সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ আহ্বান জানান ইরানের রাষ্ট্রদূত রেজা নাজাফি। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নাজাফি বলেন, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সব সময় তীব্র আতঙ্কের মধ্যে থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি আইএইএ’র প্রতি আহ্বান জানান।

নাজাফি আরো বলেন, ইসরাইলের পরমাণু বিজ্ঞানীরা পশ্চিমা পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোর পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। অথচ যেসব দেশ পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে সই করেছে তেল আবিব সেসব দেশের শান্তিপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের হত্যা করছে। ইসরাইলের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে একথা বলেন আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত রেজা নাজাফি।

ইসরাইলের কাছে প্রায় চার শ’টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। তেল আবিব কখনো তার কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকার খবর স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। আইএইএ বিশ্বের সব দেশের পরমাণু কর্মসূচিতে নজরদারি করলেও ইসরাইলের কোনো পরমাণু স্থাপনায় এখন পর্যন্ত পরিদর্শক পাঠাতে পারেনি।