ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানে ৩০ বছর পর তিমি ধরা শুরু

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রায় তিন দশক পর আবারও বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার শুরু করেছে জাপান। আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মধ্যেই দেশটির জেলেদের তিমি শিকারের অনুমতি দিয়েছে টোকিও। যদিও গবেষণার কথা বলে এর আগেও তিমি ধরা অব্যাহত রেখেছিল জাপান। আর এবার বিতর্কিতভাবে আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে আবাও সাগরে তিমি শিকারের অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার বন্ধ রাখার সম্মতিতে ছিল আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন। কিন্তু জাপান বলছে, পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকানোর মধ্যে দিয়ে টেকসইভাবে তিমি শিকার করতে পারবে তারা। আর এই যুক্ত দেখিয়ে ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার করলো দেশটি।

তবে তিমি শিকারের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে জেলেদের। দেশটির মংস্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ৫২টি ‘মিঙ্কি’, ১৫০টি ‘ব্রাইডি’ ও ২৫টি ‘সেই’ প্রজাতির মোট ২২৭টি তিমি শিকার করতে পারবে। যদিও গত বছর গবেষণার কথা বলে ৩৩৩টি তিমি শিকার করেছিল জাপান।

তিমি শিকারে সাগরে যাওয়ার আগে একটি জাহাজের ওপর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জাপানের মংস্য এজেন্সির মহাপরিচালক সিগেতো হাসিই বলেন, সারাদেশের তিমি শিকারকারীদের দাবির কারণে বাণিজ্যিকভাবে আবারও তিমি ধরা শুরু হয়েছে। তবে তিমি শিকারের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ইয়োহিফুমি কাই নামের একজন জেলে জানান, প্রায় ৪০০ বছর ধরে আমাদের শহরে তিমি শিকার হয়ে আসছে। সাগরে যাওয়ার আগে তিনি এএফপিকে বলেন, এতদিন পর আবার তিমি শিকার করতে পারবো এটা জেনে আমি খুবই খুশি। আমার মনে হয় এখনকার তরুণরা তিমি খাওয়া ও রান্নার বিষয়টি জানে। আমি চাই আরও বেশি লোক তিমি খাওয়া শিখুক।

এদিকে জাপান তিমি শিকার শুরু করায় নিন্দা জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। লিখিত বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, তিমি শিকারের মধ্য দিয়ে নতুন এবং শোকের যুগে প্রবেশ করলো জাপান। বিশ্বব্যাপী তিমি সংরক্ষণের জন্য এটা একটি খারাপ খবর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জাপানে ৩০ বছর পর তিমি ধরা শুরু

আপডেট টাইম : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রায় তিন দশক পর আবারও বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার শুরু করেছে জাপান। আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মধ্যেই দেশটির জেলেদের তিমি শিকারের অনুমতি দিয়েছে টোকিও। যদিও গবেষণার কথা বলে এর আগেও তিমি ধরা অব্যাহত রেখেছিল জাপান। আর এবার বিতর্কিতভাবে আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে আবাও সাগরে তিমি শিকারের অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার বন্ধ রাখার সম্মতিতে ছিল আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন। কিন্তু জাপান বলছে, পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকানোর মধ্যে দিয়ে টেকসইভাবে তিমি শিকার করতে পারবে তারা। আর এই যুক্ত দেখিয়ে ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার করলো দেশটি।

তবে তিমি শিকারের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে জেলেদের। দেশটির মংস্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ৫২টি ‘মিঙ্কি’, ১৫০টি ‘ব্রাইডি’ ও ২৫টি ‘সেই’ প্রজাতির মোট ২২৭টি তিমি শিকার করতে পারবে। যদিও গত বছর গবেষণার কথা বলে ৩৩৩টি তিমি শিকার করেছিল জাপান।

তিমি শিকারে সাগরে যাওয়ার আগে একটি জাহাজের ওপর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জাপানের মংস্য এজেন্সির মহাপরিচালক সিগেতো হাসিই বলেন, সারাদেশের তিমি শিকারকারীদের দাবির কারণে বাণিজ্যিকভাবে আবারও তিমি ধরা শুরু হয়েছে। তবে তিমি শিকারের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ইয়োহিফুমি কাই নামের একজন জেলে জানান, প্রায় ৪০০ বছর ধরে আমাদের শহরে তিমি শিকার হয়ে আসছে। সাগরে যাওয়ার আগে তিনি এএফপিকে বলেন, এতদিন পর আবার তিমি শিকার করতে পারবো এটা জেনে আমি খুবই খুশি। আমার মনে হয় এখনকার তরুণরা তিমি খাওয়া ও রান্নার বিষয়টি জানে। আমি চাই আরও বেশি লোক তিমি খাওয়া শিখুক।

এদিকে জাপান তিমি শিকার শুরু করায় নিন্দা জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। লিখিত বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, তিমি শিকারের মধ্য দিয়ে নতুন এবং শোকের যুগে প্রবেশ করলো জাপান। বিশ্বব্যাপী তিমি সংরক্ষণের জন্য এটা একটি খারাপ খবর।