সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান দেশব্যাপী চলা পুলিশ-র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তার মতে, এই সুযোগ পুলিশ গ্রেপ্তার বাণিজ্যে মেতে উঠবে। তাই তিনি গ্রেপ্তার হলেও পুলিশকে কোনো টাকা-পয়সা না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া তার পোস্টটি এখানে তুলে ধরা হলো:
“দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানকে স্বাগত জানাতে পারলাম না। কারণ অভিযানের নামে সবসময় পুলিশি বাণিজ্য হয়। দেশের মানুষের অভিজ্ঞতা হলো রোজার মাস আসলেই পুলিশ বিভিন্ন ছল চাতুরিতে লাগামহীন তল্লাশি ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যে নামে। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যা। হত্যার এলাকায় হ্ত্যাকারীর গ্রেপ্তারে কার্যকরী তৎপরতা না চালিয়ে রোজার মাসে সারাদেশে পুলিশের অভিযানের মাজেজা কিন্তু জনগণ বুঝে। পত্রপত্রিকার ভাষ্যমতে এসপির স্ত্রীর হত্যার ব্যাপারে ‘প্রশাসনের সর্বশক্তি প্রয়োগের পরও সফলতা নেই’। অথচ আইজিপি সাহেব বিদেশ থেকে এসেই বিষয়টিকে অন্য দিকে প্রবাহিত করা এবং সেই সঙ্গে পুলিশদেরকে খুশি করার জন্য সারাদেশে জনগণকে এই রোজার মাসে হয়রানি করার জন্য অযথা অভিযান চালিয়ে দিলেন। হায়রে বোকা পলিটিশিয়ান! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি বুঝেন এবং কী কারণে এই পবিত্র রোজার মাসে জনগণের হয়রানি বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে দিলেন, তা একমাত্র মন্ত্রীই বলতে পারবেন। জনগণ এই রোজার মাসে পুলিশি অভিযানের কোনো যুক্তি খুঁজে পায় না। তাই জনগণের প্রশ্ন, এই পুলিশি অভিযান কি রোজার পরে করা যেত না? নাকি এই এক মাসে সরকার খতম হয়ে যেত?
জানি না বর্তমানে সরকার কে চালাচ্ছ? তবে এটা বুঝতে কারো অসুবিধা হচ্ছে না যে রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাচ্ছে না! তাই আজকে জনগণের দাবি অবিলম্বে এই পুলিশি অভিযান বন্ধ করা হোক। সড়ক-মহাসড়কে সকল প্রকার তল্লাশি বন্ধ করা হোক। রোজার মাসে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি বন্ধ করা হোক। জনগণ যেখানে ভোটবিহীন নির্বাচিত সরকারকে পাঁচ বছরের জন্য মেনে নিয়েছে সেখানে তথাকথিত সন্ত্রাসের নামে এক মাসে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে না। আসুন প্রয়োজনে এই বাণিজ্য বন্ধে আমরা জনগণ তৎপর হই। আমরা জেলে যাবো কিন্তু পুলিশকে টাকা দেব না।”