ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালিম চাষে সফলতা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর সোনালি গ্রামের কৃষক মোঃ জয়নাল আবেদীন কুমড়াজাতীয় সবজি মুসকান লালিম চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। সবজি লালিম মঠবাড়িয়ার কৃষকের কাছে একটি নতুন ফসল। জয়নাল মঠবাড়িয়ার একজন মডেল কৃষক। তিনি প্রতি বছর নতুন নতুন নানা জাতের সবজি চাষ করে এলাকার একজন সফল কৃষক। এবার তিনি বসতবাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে মুসকান লালিম নামের একটি নতুন সবজি চাষ করে লাখ টাকা আয় করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষক জয়নাল আবেদীন তার বসতবাড়ির সামনে ১০ কাঠা জমিতে কান্দি বেড় পদ্ধতিতে মাচা গড়ে সেখানে নতুন সবজি লালিমের আবাদ করেছেন। চালকুমড়াসদৃশ এসব লালিম ফসলে মাচা নুয়ে পড়ার উপক্রম। ফুল আর লালিমে ভরে আছে মাচা।

কৃষক জয়নাল জানান, তিনি প্রতি বছর দেশি প্রজাতির নানা সবজি আবাদ করে আসছেন। তবে কখনও কুমড়াজাতীয় সবজি লালিমের আবাদ করেননি। এটি দেশে নতুন এক সবজি। এ বছর তিনি বীজ সংগ্রহ করে নিজেই চারা তৈরি করেছেন। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতে তিনি বাড়ির সামনে ১০ কাঠা জমিতে বেড় পদ্ধতিতে মাচা তৈরি করে লালিমের আবাদ করেন। জৈব সার আর নিজস্ব পরিচর্যায় তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচে তিনি লালিম আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১০০ মণ লালিম ফলন পেয়েছেন। ক্ষেতে আরও ৫০ মণ লালিমের ফলন অবশিষ্ট রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকার লালিম বিক্রয় বরেছেন। আরও ৫০ মণ লালিমে তিনি ৫০ হাজার টাকা রোজগারের আশা করছেন। তিনি আরও জানান, লালিম কুমড়াজাতীয় একটি সবজি। ভাজি কিংবা তরকারি হিসেবে উপাদেয়। এছাড়া পাকা লালিম এমনিতেই খাওয়া যায়। বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিদরে লালিম বিক্রয় হয়। এলাকায় নতুন সবজি হিসেবে লালিমের চাহিদা ব্যাপক। যে কেউ এটি অতি সহজেই বাড়ির আঙিনায় আবাদ করতে পারেন।

এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, লালিম এলাকার নতুন সবজি। কৃষক জয়নাল নিজ উদ্যোগে আবাদ করে সফল হয়েছেন। তিনি এলাকার সফল কৃষক। তার দেখাদেখি অনেকেই লালিম আবাদে ঝুঁকছেন। কারণ অল্প খরচে লালিম একটি লাভজনক সবজি। মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, লালিম আমাদের উপকূলে তো বটেই, দেশেই নতুন প্রজাতির এক সবজি। এটি মূলত বর্ষাকালের সবজি। চালকুমড়া জাতীয় লালিমের বাজারে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উপকূলে এ সবজির এখনও বাণিজ্যিক আবাদ গড়ে ওঠেনি। নতুন ফসল হিসেবে কৃষক জয়নাল এটির আবাদ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিউকার বিটেসি গোত্রের সবজি লালিম আবাদ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ পরিকল্পনা গ্রহণের চেষ্টা করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

লালিম চাষে সফলতা

আপডেট টাইম : ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর সোনালি গ্রামের কৃষক মোঃ জয়নাল আবেদীন কুমড়াজাতীয় সবজি মুসকান লালিম চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। সবজি লালিম মঠবাড়িয়ার কৃষকের কাছে একটি নতুন ফসল। জয়নাল মঠবাড়িয়ার একজন মডেল কৃষক। তিনি প্রতি বছর নতুন নতুন নানা জাতের সবজি চাষ করে এলাকার একজন সফল কৃষক। এবার তিনি বসতবাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে মুসকান লালিম নামের একটি নতুন সবজি চাষ করে লাখ টাকা আয় করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষক জয়নাল আবেদীন তার বসতবাড়ির সামনে ১০ কাঠা জমিতে কান্দি বেড় পদ্ধতিতে মাচা গড়ে সেখানে নতুন সবজি লালিমের আবাদ করেছেন। চালকুমড়াসদৃশ এসব লালিম ফসলে মাচা নুয়ে পড়ার উপক্রম। ফুল আর লালিমে ভরে আছে মাচা।

কৃষক জয়নাল জানান, তিনি প্রতি বছর দেশি প্রজাতির নানা সবজি আবাদ করে আসছেন। তবে কখনও কুমড়াজাতীয় সবজি লালিমের আবাদ করেননি। এটি দেশে নতুন এক সবজি। এ বছর তিনি বীজ সংগ্রহ করে নিজেই চারা তৈরি করেছেন। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতে তিনি বাড়ির সামনে ১০ কাঠা জমিতে বেড় পদ্ধতিতে মাচা তৈরি করে লালিমের আবাদ করেন। জৈব সার আর নিজস্ব পরিচর্যায় তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচে তিনি লালিম আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১০০ মণ লালিম ফলন পেয়েছেন। ক্ষেতে আরও ৫০ মণ লালিমের ফলন অবশিষ্ট রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকার লালিম বিক্রয় বরেছেন। আরও ৫০ মণ লালিমে তিনি ৫০ হাজার টাকা রোজগারের আশা করছেন। তিনি আরও জানান, লালিম কুমড়াজাতীয় একটি সবজি। ভাজি কিংবা তরকারি হিসেবে উপাদেয়। এছাড়া পাকা লালিম এমনিতেই খাওয়া যায়। বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিদরে লালিম বিক্রয় হয়। এলাকায় নতুন সবজি হিসেবে লালিমের চাহিদা ব্যাপক। যে কেউ এটি অতি সহজেই বাড়ির আঙিনায় আবাদ করতে পারেন।

এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, লালিম এলাকার নতুন সবজি। কৃষক জয়নাল নিজ উদ্যোগে আবাদ করে সফল হয়েছেন। তিনি এলাকার সফল কৃষক। তার দেখাদেখি অনেকেই লালিম আবাদে ঝুঁকছেন। কারণ অল্প খরচে লালিম একটি লাভজনক সবজি। মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, লালিম আমাদের উপকূলে তো বটেই, দেশেই নতুন প্রজাতির এক সবজি। এটি মূলত বর্ষাকালের সবজি। চালকুমড়া জাতীয় লালিমের বাজারে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উপকূলে এ সবজির এখনও বাণিজ্যিক আবাদ গড়ে ওঠেনি। নতুন ফসল হিসেবে কৃষক জয়নাল এটির আবাদ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিউকার বিটেসি গোত্রের সবজি লালিম আবাদ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ পরিকল্পনা গ্রহণের চেষ্টা করছে।