ঢাকা , রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের জাদুঘরে যুদ্ধদিনের নিদর্শন

‘১৯৭১ সালে আমার জন্মই হয়নি। তাই যুদ্ধের কোনো স্মৃতি নেই। টেলিভিশনে, ছবিতে, পেপার-পত্রিকার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কিছু বিষয় জেনেছি। এখানে এসে কিছু বাস্তব নিদর্শন দেখতে পেলাম।’ বলছিলেন মোহাম্মদ রাশেদ। তিনি এসেছিলেন রাজধানী ঢাকার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। রাশেদ নিজেও বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল। এখন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আছেন।

পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দর্শনার্থীদের খুলে দেয়া হয়েছে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর ত্যাগ ও বীরত্বের নানান উপাদান-উপকরণ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই জাদুঘর।  এতে ঢুকতে গেলে প্রথমে আপনাকে অভ্যর্থনা কক্ষে যেতে হবে। সেখানে গিয়েই জানা গেল এই জাদুঘরে প্রতিদিন শ-খানেক দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আর ছুটির দিনে তা তিনশো পর্যন্তও পৌঁছায়।

 

জাদুঘরের অভ্যর্ত্থনা কক্ষ পেরুতেই ডানদিকে সাদা রঙের সুউচ্চ স্মৃতিসৌধ চোখে পড়বে। নিচের অংশ গম্বুজাকৃতির। মাঝখান থেকে উপরের দিকে উঠে গেছে একটি মিনার। নিচের গোল সবুজ ঘাসের চত্বরে ফলকে লেখা আছে ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ যারা।’ কয়েকটি সোপান পার হয়ে স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে যেতে পারবেন। এখান থেকে নেমে ডানদিকে একটি কৌণিক আকৃতির ভবন চোখে পড়বে। এটিই মুলত জাদুঘর। যার ভেতরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশের ব্যবহৃত সকল জিনিসপত্র। পুলিশ জাদুঘরের একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তা হলে এটি উপর থেকে নিচে দ্বিতলবিশিষ্ট কক্ষ।

প্রথমেই চোখে পড়বে বেশকিছু ছবি। তবে এগুলো দেখার কৌশলটায় কিন্তু দারুণ। বাক্সেজুড়ে দেয়া আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ছবি। বাক্স ঘুরালেই আরেক দিকে দেখা যায় খ্যাতিমান সাহিত্যিকের গদ্য বা কবিতাংশ। এই সব ছবি দেখতে দেখতে হাতের ডানদিকে দেখতে পাবেন একটি সুদৃশ্য পাঠাগার। এখানে আছে পাঠকদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই।

এবার নিচের তলায় নেমে দেখার পালা। বাকানো সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই চোখে পড়বে অস্ত্রহাতে দাঁড়িয়ে আছে জনাকয়েক পুলিশ সদস্য। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দেখতে আসল মনে হলেও এগুলো কিন্তু পুলিশের আদলে গড়া পুতুল। এরপাশে কাচের গ্লাসে ঢাকা অনেকগুলো বাক্স। তার ভেতর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র থেকে শুরু করে তাদের পোশাক, চশমা, কলম, চিঠি, খাবার প্লেট, গ্লাস, ছবি, টুপি, ছোরা, লাঠি, বল্লম, তীর। ধনুক, ঢাল, তলোয়ার, ফটোফ্রেম, টেলিফোন, মাইক্রোস্কপ, দা, ঘন্টি, হাত-মাইক, লাঠি, জায়নামাজ, ব্যাজ, বাঁশি, চেয়ার, টেবিল, নামফলক, টাই, কোট, বেল্ট, বই, ঘোড়ার গাড়ি, বন্দুকের গুলি, চাবুক, দেয়াল ঘড়ি, হাতঘড়ি, মগ, ব্যাগ, জুতার ব্রাশ, রেডিও, ক্যামেরা প্রভৃতি। এগুলোর সবই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক।

 

তবে এখানে উল্লেখযোগ্য স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বেতার যন্ত্র। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অপারেটর কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের খবর ঢাকাসহ পুরো দেশের সব পুলিশ লাইনে জানিয়ে দেয়া হয়। সেই বার্তাটি ছিলো, ‘দ্য বেজ ফর অল স্টেশন ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেনিং, ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই দ্য পাক আর্মি, ট্রাই টু সেভ ইউরসেলফ।’

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে যখন আক্রমণ করে তা তখনি আইজিপির বডিগার্ড কনস্টেবল আব্দুল আলী পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকা পুলিশ সদস্যদের একত্র করে জানান। তখন হানাদারদের প্রতিরোধে আহবানও করেন। আর তখন পুলিশ সদস্যরা সালামি গার্ডের পাশে জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য অবস্থান নেয়।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা করেন। শুধু রাজারবাগই নয় দেশের প্রায় সকল পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জাদুঘরে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সদস্যদের হাতে লেখা দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত অনেক চিঠি। ২৫ মার্চ রাতে আক্রমণের পর প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। সেই পতাকার ছবি আছে জাদুঘরে। আরো আছে মর্টালশেলের আঘাতের চিহ্ন এবং তার অংশ বিশেষ। আছে সেই সময়ের বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান আবদুল খালেককের ভাষণের অনুলিপি। এটি পড়ছিলেন আনিসুর রহমান নামে একজন দর্শনার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি বেড়াতে এসেছি ঢাকায়। আমার ভাই পুলিশে চাকরি করেন। তাই এখানে ভাইয়ের সঙ্গে জাদুঘর দেখতে এসেছি। অনেক অজানা অদেখা জিনিস দেখলাম। অনেক কিছু শিখলাম।’পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিচের গ্যালারিতে আরো দুটি কক্ষ রয়েছে। একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও অনুষ্ঠান করার কক্ষ। সপ্তায় ছয়দিন জাদুঘর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে খোলার থাকার সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা। আর শুক্রবার জাদুঘর চালু থাকে  বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। তবে বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকে জাদুঘর। পুলিশ জাদুঘর বন্ধ থাকে বুধবার। এসব তথ্য দিলেন অভ্যর্থনা কক্ষে দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ কন্সটেবল শীলা খাতুন। জাদুঘরে ঢোকার টিকিটের দাম ১০ টাকা। পথশিশু ও অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধীরা অবশ্য বিনামূল্যে এখানে আসতে পারে। আরো একটি কথা, জাদুঘরের ভেতরে মুঠোফোন দিয়ে কথা বলা যাবে, কিন্তু ছবি তোলা বা সেলফি তোলার কোনো সুযোগ নেই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পুলিশের জাদুঘরে যুদ্ধদিনের নিদর্শন

আপডেট টাইম : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭

‘১৯৭১ সালে আমার জন্মই হয়নি। তাই যুদ্ধের কোনো স্মৃতি নেই। টেলিভিশনে, ছবিতে, পেপার-পত্রিকার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কিছু বিষয় জেনেছি। এখানে এসে কিছু বাস্তব নিদর্শন দেখতে পেলাম।’ বলছিলেন মোহাম্মদ রাশেদ। তিনি এসেছিলেন রাজধানী ঢাকার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। রাশেদ নিজেও বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল। এখন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আছেন।

পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দর্শনার্থীদের খুলে দেয়া হয়েছে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর ত্যাগ ও বীরত্বের নানান উপাদান-উপকরণ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই জাদুঘর।  এতে ঢুকতে গেলে প্রথমে আপনাকে অভ্যর্থনা কক্ষে যেতে হবে। সেখানে গিয়েই জানা গেল এই জাদুঘরে প্রতিদিন শ-খানেক দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আর ছুটির দিনে তা তিনশো পর্যন্তও পৌঁছায়।

 

জাদুঘরের অভ্যর্ত্থনা কক্ষ পেরুতেই ডানদিকে সাদা রঙের সুউচ্চ স্মৃতিসৌধ চোখে পড়বে। নিচের অংশ গম্বুজাকৃতির। মাঝখান থেকে উপরের দিকে উঠে গেছে একটি মিনার। নিচের গোল সবুজ ঘাসের চত্বরে ফলকে লেখা আছে ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ যারা।’ কয়েকটি সোপান পার হয়ে স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে যেতে পারবেন। এখান থেকে নেমে ডানদিকে একটি কৌণিক আকৃতির ভবন চোখে পড়বে। এটিই মুলত জাদুঘর। যার ভেতরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশের ব্যবহৃত সকল জিনিসপত্র। পুলিশ জাদুঘরের একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তা হলে এটি উপর থেকে নিচে দ্বিতলবিশিষ্ট কক্ষ।

প্রথমেই চোখে পড়বে বেশকিছু ছবি। তবে এগুলো দেখার কৌশলটায় কিন্তু দারুণ। বাক্সেজুড়ে দেয়া আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ছবি। বাক্স ঘুরালেই আরেক দিকে দেখা যায় খ্যাতিমান সাহিত্যিকের গদ্য বা কবিতাংশ। এই সব ছবি দেখতে দেখতে হাতের ডানদিকে দেখতে পাবেন একটি সুদৃশ্য পাঠাগার। এখানে আছে পাঠকদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই।

এবার নিচের তলায় নেমে দেখার পালা। বাকানো সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই চোখে পড়বে অস্ত্রহাতে দাঁড়িয়ে আছে জনাকয়েক পুলিশ সদস্য। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দেখতে আসল মনে হলেও এগুলো কিন্তু পুলিশের আদলে গড়া পুতুল। এরপাশে কাচের গ্লাসে ঢাকা অনেকগুলো বাক্স। তার ভেতর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র থেকে শুরু করে তাদের পোশাক, চশমা, কলম, চিঠি, খাবার প্লেট, গ্লাস, ছবি, টুপি, ছোরা, লাঠি, বল্লম, তীর। ধনুক, ঢাল, তলোয়ার, ফটোফ্রেম, টেলিফোন, মাইক্রোস্কপ, দা, ঘন্টি, হাত-মাইক, লাঠি, জায়নামাজ, ব্যাজ, বাঁশি, চেয়ার, টেবিল, নামফলক, টাই, কোট, বেল্ট, বই, ঘোড়ার গাড়ি, বন্দুকের গুলি, চাবুক, দেয়াল ঘড়ি, হাতঘড়ি, মগ, ব্যাগ, জুতার ব্রাশ, রেডিও, ক্যামেরা প্রভৃতি। এগুলোর সবই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক।

 

তবে এখানে উল্লেখযোগ্য স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বেতার যন্ত্র। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অপারেটর কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের খবর ঢাকাসহ পুরো দেশের সব পুলিশ লাইনে জানিয়ে দেয়া হয়। সেই বার্তাটি ছিলো, ‘দ্য বেজ ফর অল স্টেশন ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেনিং, ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই দ্য পাক আর্মি, ট্রাই টু সেভ ইউরসেলফ।’

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে যখন আক্রমণ করে তা তখনি আইজিপির বডিগার্ড কনস্টেবল আব্দুল আলী পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকা পুলিশ সদস্যদের একত্র করে জানান। তখন হানাদারদের প্রতিরোধে আহবানও করেন। আর তখন পুলিশ সদস্যরা সালামি গার্ডের পাশে জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য অবস্থান নেয়।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা করেন। শুধু রাজারবাগই নয় দেশের প্রায় সকল পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জাদুঘরে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সদস্যদের হাতে লেখা দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত অনেক চিঠি। ২৫ মার্চ রাতে আক্রমণের পর প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। সেই পতাকার ছবি আছে জাদুঘরে। আরো আছে মর্টালশেলের আঘাতের চিহ্ন এবং তার অংশ বিশেষ। আছে সেই সময়ের বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান আবদুল খালেককের ভাষণের অনুলিপি। এটি পড়ছিলেন আনিসুর রহমান নামে একজন দর্শনার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি বেড়াতে এসেছি ঢাকায়। আমার ভাই পুলিশে চাকরি করেন। তাই এখানে ভাইয়ের সঙ্গে জাদুঘর দেখতে এসেছি। অনেক অজানা অদেখা জিনিস দেখলাম। অনেক কিছু শিখলাম।’পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিচের গ্যালারিতে আরো দুটি কক্ষ রয়েছে। একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও অনুষ্ঠান করার কক্ষ। সপ্তায় ছয়দিন জাদুঘর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে খোলার থাকার সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা। আর শুক্রবার জাদুঘর চালু থাকে  বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। তবে বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকে জাদুঘর। পুলিশ জাদুঘর বন্ধ থাকে বুধবার। এসব তথ্য দিলেন অভ্যর্থনা কক্ষে দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ কন্সটেবল শীলা খাতুন। জাদুঘরে ঢোকার টিকিটের দাম ১০ টাকা। পথশিশু ও অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধীরা অবশ্য বিনামূল্যে এখানে আসতে পারে। আরো একটি কথা, জাদুঘরের ভেতরে মুঠোফোন দিয়ে কথা বলা যাবে, কিন্তু ছবি তোলা বা সেলফি তোলার কোনো সুযোগ নেই।