ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে কোনো মূর্তি থাকবে না

এবার দেশে স্থাপিত সব ভাস্কর্যকে ‘মুর্তি’ আখ্যা দিয়ে সেগুলোতে অপসারণের দাবি জানিয়েছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীতে শোকরানা মিছিল থেকে এই দাবি জানানো হয়।

এ সময় হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি থাকবে না। সকল মূর্তি অপসারণ করতে হবে।’

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই শোকরানা মিছিলের আয়োজন করে হেফাজত। গত ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সরিয়ে নেয়া হয়। এটি অপসারণে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন জানিয়ে আসছিল সংগঠনটি।

নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘কোনও অবস্থায় রাস্তার পাশে মূর্তি স্থাপন মেনে নেওয়া চলবে না। এ দেশে মূর্তি সংস্কৃতি চলবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নূল হোসাইন কাসেমী বলেন ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যেন সবসময় ইসলামের খেদমত করতে পারেন এই দোয়া আমরা করছি।’

রোজার আগেই মুর্তি অপসারণে প্রধামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে হেফাজত নেতা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘রমজানের আগেই মুর্তিটি সরানোয় শুকরিয়া আদায় করছি, সাথে সাথে মুর্তি সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

কাসেমী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে কোন মূর্তির সংস্কৃতি চলবে না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি স্থাপন করা চলবে না। দেশের সকল মূর্তিই অপসারণ করতে হবে। মূসলিম প্রধান দেশে আর যেন কোন মূর্তি স্থাপন না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই ‘

এর আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থেমিসিস দেবীর মূর্তি স্থাপনই সংবিধানবিরোধী। ধর্মীয় উস্কানিমূলক এটা। অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা মনে করি এটা অপসারণের জন্য বাংলোদেশের সর্বস্তরের জনগণ দাবি জানিয়ে আসছে। এই মূর্তি স্থাপন করে যারা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে, সেটার দায় কেন সরকার নেবে।’

২০১৩ সালের ৫ মে ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের আগে তোলা ১৩ দফা দাবিতেও তোলা হয় ভাস্কর্য প্রসঙ্গ। তাদের ৭ নম্বর দাবিতে ছিল, ‘মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।’ মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সেই দাবি প্রত্যাহার হয়নি। এটা এখনও বহাল আছে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে কোনো মূর্তি থাকবে না

আপডেট টাইম : ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

এবার দেশে স্থাপিত সব ভাস্কর্যকে ‘মুর্তি’ আখ্যা দিয়ে সেগুলোতে অপসারণের দাবি জানিয়েছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীতে শোকরানা মিছিল থেকে এই দাবি জানানো হয়।

এ সময় হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি থাকবে না। সকল মূর্তি অপসারণ করতে হবে।’

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই শোকরানা মিছিলের আয়োজন করে হেফাজত। গত ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সরিয়ে নেয়া হয়। এটি অপসারণে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন জানিয়ে আসছিল সংগঠনটি।

নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘কোনও অবস্থায় রাস্তার পাশে মূর্তি স্থাপন মেনে নেওয়া চলবে না। এ দেশে মূর্তি সংস্কৃতি চলবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নূল হোসাইন কাসেমী বলেন ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যেন সবসময় ইসলামের খেদমত করতে পারেন এই দোয়া আমরা করছি।’

রোজার আগেই মুর্তি অপসারণে প্রধামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে হেফাজত নেতা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘রমজানের আগেই মুর্তিটি সরানোয় শুকরিয়া আদায় করছি, সাথে সাথে মুর্তি সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

কাসেমী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে কোন মূর্তির সংস্কৃতি চলবে না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি স্থাপন করা চলবে না। দেশের সকল মূর্তিই অপসারণ করতে হবে। মূসলিম প্রধান দেশে আর যেন কোন মূর্তি স্থাপন না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই ‘

এর আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থেমিসিস দেবীর মূর্তি স্থাপনই সংবিধানবিরোধী। ধর্মীয় উস্কানিমূলক এটা। অমার্জনীয় অপরাধ। আমরা মনে করি এটা অপসারণের জন্য বাংলোদেশের সর্বস্তরের জনগণ দাবি জানিয়ে আসছে। এই মূর্তি স্থাপন করে যারা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে, সেটার দায় কেন সরকার নেবে।’

২০১৩ সালের ৫ মে ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের আগে তোলা ১৩ দফা দাবিতেও তোলা হয় ভাস্কর্য প্রসঙ্গ। তাদের ৭ নম্বর দাবিতে ছিল, ‘মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।’ মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সেই দাবি প্রত্যাহার হয়নি। এটা এখনও বহাল আছে।’